পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডের সরকারি জায়গা দখল উচ্ছেদ করে পুনরুদ্ধারে সময় বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আব্দুল হামিদ রোডস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে আবদুল হামিদ রোডের ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা করছিল বেশ কিছু লোকজন। সম্প্রতি সেইসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে পাবনা পৌর ও জেলা প্রশাসন। বুধবার সকাল থেকে নিজেদের সামনে উদ্ধার হওয়া জায়গায় সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করে পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দুপুরের দিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু ওবায়দা শেখ তুহিনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা এসে বাধা দেয়। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। পরে তারা চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, আওয়ামী লীগের সময় বিপুল পরিমাণ মাসিক চাঁদার বিনিময়ে সেখানে বেশকিছু চায়ের দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছিলেন লোকজন। ক্ষমতার পট পরিবর্তন ও উচ্ছেদের পর দোকানদাররা বিএনপি নেতাদের দ্বারস্থ হোন। আগের ন্যায় এবারও টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনার উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন জানান, ডিসি স্যার ও সড়ক বিভাগের নির্দেশে আমরা সেখানে কাজ করছিলাম। কিন্তু কেউ কেউ আবদার করে লোক বসাতে হবে। আমরা জানিয়েছি জায়গায় সংরক্ষণ করতে যা করণীয় তাই করবো ইনশাআল্লাহ। কোনো দোকানপাট করে কোনো যানজট করা যাবে না। শেখ তুহিন এসেছিলেন, তাদের দাবি এখানে লোক বসাইতে। আমরা বলেছি- আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করবো। এর জন্য যে প্রটেকশন দেয়ার আমরা দেব।
অর্থনৈতিক লেনদেনের কথা অস্বীকার করে পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু ওবায়দা শেখ তুহিন বলেন, ওখানে কিছু দোকান ছিল সেই দোকানগুলো উঠে দিয়েছে। পরে দোকানদাররা আমার কাছে, বগার কাছে আসছিলো। আমরা তাদের (কৃষি অফিস) বলেছি অফিসও দেখতে হবে আবার গরীব মানুষদেরও দেখতে হবে। কিন্তু তারা বললো তারা সেখানে ছবি আঁকাবে ফুল গাছ টুলগাছ লাগাবে। পরে অনেক কথা হলো, এরপর আমরাও মেনে (তাদের সিদ্ধান্ত) নিয়েছি। তারপর দোকানদারদের ডেকে এনে আলাদা বসার কথা বলেছি। এখানে টাকার লেনদেন হবে কেন তাদের (দোকানদার) সঙ্গে আমার ৩৫ বছরের সম্পর্ক। তাদের সমস্যাগুলো আমাদেরই তো সমাধান করতে হয়।