পাবনা যুব মহিলা লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে কর্মীদের ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ!

ভুয়া ত্রাণদাতাদের সঙ্গে যোগসাজস করে দলীয় কর্মীদের ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযােগ উঠে পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি এডভোকেট আরেফা খানম শেফালী বিরুদ্ধে। 

বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা ও পাবনা বার সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নেতাকর্মীরা। অভিযোগ করে বাড়াবাড়ি করলে দলীয় পদপদবি কেড়ে নেয়ারও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী নেতাকর্মীদের মধ্যে মেরিনা ইয়াসমিন লাকী, রাবেয়া খাতুন তিশা, জুবায়দার খান মুন্নি জানান, গত ৪ জুন পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি এডভোকেট আরেফা খানম শেফালী নেতাকর্মীদেরকে একটি মোবাইল নাম্বার দেন। তারা কৃষি অধিফতরের লোক, এলাকার দরিদ্র ব্যক্তিদের ত্রাণ দিবে তারা- এমন বিষয়ে কথা বলতে বলেন এবং তারা যেভাবে যা করতে বলে তা করার জন্যও তাদেরকে শেফালী নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ মতো নেতাকর্মীরা কথিত সেই কৃষি অধিফতরের লোকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা নেতাকর্মীদেরকে আবেদন ফিসহ নানা বিষয়ের কথা বলে বিপুল অংঙ্কের টাকা নেন। এরপর কৃষি অফিসে সেই ত্রাণ আনতে গিয়ে বুঝতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কথিত সেই কৃষি অফিসারদের নাম্বার বন্ধ। পরে বিষয়টি নিয়ে শেফালির মুখোমুখি হলে শেফালী ভুক্তভোগী নেতাকর্মীদের নানা হুমকি-ধামকি দেন।

এবিষয়ে পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি এডভোকেট আরেফা খানম শেফালী বলেন, ‘নাম্বারটি আমি এমপি জলির (সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি) কাছ থেকে পেয়েছিলাম। উনি আমাকে মেয়েদেরকে দেয়ার কথা বলেছিলেন। তার কথা মতোই আমি মেয়েদের সেই নাম্বারটা দিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়েদের কোনো টাকা-পয়সা আমি দিতে বলেনি। টাকা দেয়ার সময় মেয়েরা আমাকে জানায়নি। আর হুমকি-ধামকি দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা।’

এবিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি নাদিরা ইয়াসমিন জলি বলেন, ‘আসলে নাম্বারটা আমিই শেফালিকে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কেউ বুঝতে পারি নাই তারা প্রতারক। আমরা আসলে প্রতারণার শিকার। তবে শেফালি বলেছে যে ও কাউকে টাকা-পয়সা দিতে বলেনি। মেয়েরা নিজেরাই টাকা-পয়সা লেনদেন করেছে।’

এব্যাপারে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডেইজী সারোয়ার বলেন, ‘যদি তারা (নেতাকর্মী) আরেফা খানম শেফালীর জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।’