ভারতের দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এ বিষয়ে সবাই মুসলিম বিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলমানরা মোদিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না বলে দাবি করেন। এমন সময় চমক দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ভাবছেন। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন, এই বিস্ময়কর রহস্যময় বার্তা।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আগামী রবিবার আমার ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ভাবছি।’ আর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গোটা দেশে ও বিদেশে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী মোদির সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি এবং তার ফলোয়ারের সংখ্যা আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও এক নিরন্তর চর্চার বিষয়। স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, মিস্টার মোদি আমার পরেই সবথেকে জনপ্রিয় ব্যক্তি।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমতায় এসেই সবথেকে বেশি যে মাধ্যমে জোর দিয়েছেন সেটি হচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এই মাধ্যমেই তিনি ভারতের যুবসমাজের সঙ্গে এক নিবিড় সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন নিখুঁত উপস্থাপনায়। ক্রমাগত তিনি ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রামে উপস্থিত হয়েছেন। বস্তুত স্বাধীন ভারতের প্রথম ডিজিট্যাল প্রধানমন্ত্রীর তকমাও পেয়েছেন বলা যায়। তার ৫ কোটি ট্যুইটার ফলোয়ার। ৩ কোটি ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার। ৪ কোটির বেশি ফেসবুক ফলোয়ার। যা বিশ্বের খুব কম সেলেব্রিটির রয়েছে। সেই মোদি হঠাৎ তার প্রিয় মাধ্যম থেকে বিদায় নিচ্ছেন কেন? রাজনৈতিক মহলে তো বটেই, তার দল ও ভক্তদের মধ্যেও তুমুল বিস্ময় তৈরি হয়েছে। তিনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়েই দেবেন, তা হলে তাৎক্ষণিক নয় কেন? রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা কেন? রবিবার কি কোনও এক বড়সড় ঘোষণা করবেন?
এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী আজ পাল্টা ট্যুইটে বলেছেন, ঘৃণার রাজনীতি ত্যাগ করুন। সোশ্যাল মিডিয়া ত্যাগ করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার ঘোষণার মাত্র আধঘন্টার মধ্যে সেই বার্তায় ১৬ হাজার লাইক পড়ে যায়। হাজার হাজার আকুতি দেখা যায়, ‘নো স্যার’! আর প্রশ্ন করে আরও হাজার হাজার মানুষ, হোয়াই স্যার? এটাই প্রশ্ন গোটা দেশেরও। কেন এই সিদ্ধান্ত?