সেদিন মেজর সিনহার সাথে কি ঘটেছিল?

টেকনাফে স্বেচ্ছায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী সিনহার সফর সঙ্গী স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহাদুল ইসলাম সিফাত। সিফাত মুক্ত

ঘটনার সময় তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশ্য গত ১০ তাকে জামিনের মাধ্যমে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গ্রেফতার থাকা অবস্থায় অবশ্যই সিফাত ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

ঘটনার শুরু বর্ণনা দিযে সিনহার এই সহযোগী বলেন, সে দিন তাদের গাড়ির দিকে আসেন এসআই লিয়াকত। তিনি তাদের গাড়ির সামনে একটি ড্রাম রেখে দেন।

সিফাত বলেন, এরপর আমি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যাচ্ছিলাম। সিনহাও নেমে আসলেন। আমি তাকে বলতে শুনলাম, শান্ত হন, শান্ত হন… এর কিছুক্ষণ পর আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই।

৩১ জুলাই রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এ ভিডিও একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হয়।  ওই ভিডিওতে সে দিনের বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, ‘সে দিন আমাদের হাতে ক্যামেরা ট্রায়পড ছিল। তবে তখন কেউ বুঝতে পারেনি সেটা ট্রায়পড ছিল। পাহাড় থেকে নামার সময় আমাদের কাছে কোনো অস্ত্রই চিল না।’

তিনি জানান, ‘এরপর যখন আমরা চেকপোস্টে আসি তখন দায়িত্বরত পুলিশ আমাদের বলেন ঠি আছে আপনারা যেতে পারেন। তখন তিনি (লিয়াকত) আমাদের দিকে আসেন। আমরা গাড়ির জানালার কাঁচ তুলতে গেলে তিনি থামতে বলেন এবং আবার আমাদের পরিচয় জানতে চান। আমরা নিজেদের পরিচয় দেখানোর পর তিনি গাড়ির সামনে একটি ড্রাম এনে রাখেন।’

এরপর সিফাত গুলির শব্দ শোনেন এবং সিনহাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেন।

সিফাত আরো জানান, ‘আমি ভেবেছিলাম গুলি হয়ত সিনহার গায়ে লাগেনি। ফাঁকা গুলি ছুড়েছে হয়ত। তখনই আমি খেয়াল করি সিনহা রক্তে ভেসে যাচ্ছে।’

তিনি জানান, ‘আমি নামার সময় দেখেছি সিনহা যখন গাড়ি থেকে নামছিলেন তখন তিনি তার পিস্তল গাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন। তিনি মাথার ওপর দুই হাত তুলে গাড়ি থেকে নামেন। তবে গাড়ির পেছন দিকে থাকায় আমি তার পদক্ষেপ খেয়াল করতে পারিনি।’

ব্রেকিংনিউজ/ এসএ

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ