সাইদার হত্যায় সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনকে ফাঁসানোর দাবি স্ত্রীর

পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙ্গাবাড়িয়াতে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদার মালিথা হত্যাকাণ্ডে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলাউদ্দিন মালিথাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আলাউদ্দিন মালিথার স্ত্রী মোছা. শরীফা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোছা. শরীফা বেগম বলেন, ‘সাইদার মালিথাকে হত্যার দিন শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) আমার স্বামী আলাউদ্দিন মালিথা পাবনা শহরের গোবিন্দা মহল্লায় আমার বাড়ির কাছে পাবনা অফিসার্স কলোনী জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে অবস্থান করতেছিলেন। যা মসজিদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ হবে। এছাড়াও ওই মসজিদের ইমামসহ এলাকার মসজিদের মুসল্লিদের স্বাক্ষ্য নিলেও প্রমাণিত হবে।’

পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যাকা-কে পুঁজি করে চরমপন্থি দলের আঞ্চলিক নেতা পাবনা জেলা ওলামা দলের যুগ্ম-সম্পাদক কায়েম মালিথা এবং তার সহযোগী হেমায়েতপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কালামের নেতৃত্বে চরমপন্থি দলের সদস্যরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চর প্রতাপপুর, গাফুরিয়াবাদসহ আশপাশের গ্রামের ত্রাসের রাজ্যত্ব কায়েম করে ঘরবাড়িতে লুট, জমির ফসল লুট, চাঁদাবাজি এমনকি এলাকার বাঁধের সরকারি গাছপালা নিধন করেছে।’

এসময় আলাউদ্দিন মালিথার মেয়ে তৃতীয় কন্যা ডা. লুৎফুর নাহার তনু বলেন, ‘নিহত সাইদার মালিথা আমাদেরও আত্মীয়। তিনি আমার বাবার সঙ্গে সারাজীবন এক সঙ্গে চলাফেরা করেছেন, তিনি আমার বাবার অত্যন্ত কাছে লোক ছিলেন। আমার বাবা হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং তিনি এলাকায় সর্বাধিক জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্তিত হয়ে এবং আমার বাবার বংশকে ধ্বংস করার জন্য তৃতীয় কোনও পক্ষ হয়তো এই হত্যাকা-টি ঘটিয়ে আমার বাবা ও তার বংশের ওপর দোষ চাপি দিচ্ছে। যা সুষ্ঠু তদন্ত করলেই এটি বেরিয়ে আসবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ৩ কন্যা আফরোজ নাহার আখি, আজিজুর নাহার আন্নি ও ডা. নূরে শাহারিয়ার মিলা।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ