সনি বিশ্বাসের সমাবেশেও হাজারো নেতাকর্মীদের ঢল

বিদ্রোহী প্রার্থীদের পর এবার আলী মুর্তজা সনি বিশ্বাসের পক্ষেও সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী এতে অংশ নিয়েছেন।

পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুর্তজা সনি বিশ্বাসের পক্ষে করছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার ( ৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই সমাবেশ চলছে।

বুধবার রাতে শহরের আব্দুল হামিদ রোডে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ‘ষড়যন্ত্র করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে নেতাকর্মী মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশের দুইদিন পরের এই সমাবেশ ঘিরেও পাবনা শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহর জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপড়তা জোরদার করা হয়েছে।

নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরকে চ্যালেঞ্জ করে মাঠে নেমেছে দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। সনি বিশ্বাসের বিপরীতে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন প্রধান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রকিব হাসান টিপু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন>> পাবনা পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে আ.লীগের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে

আসন্ন পাবনা পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই প্রার্থী।

গত রবিবার (৩ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর এই উত্তেজনা আরও বেড়েছ। কারণ, বিদ্রোহী দুই প্রার্থীই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিদ্রোহীদের মধ্যে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন প্রধানের অবস্থান শক্ত। প্রতিদিনই তার সমর্থকরা মিছিল-মিটিং করছেন। পারা-মহল্লায় শোডাউন দিচ্ছেন। রবিবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর রাতে লাইব্রেরি বাজারের নির্বাচনী সভা করেছেন প্রধানের সমর্থকরা।

আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রকিব হাসান টিপুর সমর্থকরাও মিছিল মিটিং করছেন।

অপরদিকে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনিও প্রতিদিনই পথসভা ও নির্বাচনী সভা করছেন।

ফলে তিন প্রার্থীর সমর্থকদের মিছিল-মিটিং নিয়ে পাবনা পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে শহরে উত্তেজনা চলছে। পরস্পরের শক্ত অবস্থানের কারণে মিছিল-মিটিংয়ে মুখেমুখি হলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।

এদিকে পৌরসভা নির্বাচনে ৭ মেয়র প্রাথীর মধ্যে শুধু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াত নেতার মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে বাকি ৩ প্রার্থী হলেন- বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাবেক জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এডওয়ার্ড কলেজের ভিপি নূর মোহম্মদ মাসুম বগা, জাতীয় পার্টি থেকে চৌধুরী মোহম্মদ মাহাবুবুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবু বক্কর সিদ্দীক।

পাবনা পৌরসভা ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৮ হাজার ৪০ জন আর নারী ভোটার ৫৪ ২০৪ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৭৪ জন আর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে জানা গেছে।

জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মাহাবুববুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী ১০ জানুয়ারি প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১১ জানুয়ারিতে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী পৌরসভার নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ