জেলার অন্যতম ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান পাবনা সুগার মিলে চলতি মৌশুমে আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলসহ পাবনা জেলা প্রশাসকরে মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেছে।
৯ ডিসেম্বর (বুধবার) বেলা ১২ টারদিকে পাবনা চিনিকলের কর্মরত শতাধীক শ্রমিক কর্মচারী ও জেলার তৃণমূল পর্যায়ের আখচাষীরা ব্যনার ফেসটুন নিয়ে এই বিক্ষোভ কর্ম সূচিতে অংশ গ্রহন করেন। এসময় শ্রমকি কর্মচারিরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রর্দক্ষিণ করে পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান করে।
আন্দোলনরত শ্রমিক কর্মকচারীরা অবিলম্বে শিল্পমন্ত্রীর পদত্যাগসহ পাবনা চিনিকল অবিলম্বে চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তোক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় জেলা প্রশাসকের কাছে পাবনা চিনিকলের শ্রমিক কর্মচারী ও আখচাষীদের পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন পাবনা চিনিকল ওয়ার্কর্স ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সাজেদুল ইসলাম শাহীন, সাধারন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ¦ল, আখচাষী ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক শাজাহান আলী বাদশা, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম সাদেকসহ ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় জেলা প্রশাসক কবির মাহামুদ পাবনা চিনিকলের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে স্মারক লিপি গ্রহণ করেন। এবং তাদের চলমান সমস্যার বিষেয় সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয়সহ মানীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের এই আবেদন পৌছে দেয়ার কথা জানান।
আন্দোলনরত শ্রমিক কর্মচারীরা বলেন, ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে পাবনা সুগার মলিস বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ঠমন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে। তাদের দূর্নীতির কারনে এই চিনিকল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। পাবনা সুগার মিলের আখ গোপালপুর সুগার মিলের নেয়ার জন্য আমাদের বল্লেও সেখানে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। শ্রমকিরা বলেন এই অঞ্চলের আখ যদি সঠিক সময়ে মিলে না দেয়া যায় তবে চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন চাষীরা। সঠিক সময়ে চিনি কলে আখ দিতে না পরলে সেই আথ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। এই শুকনো আখ দিয়ে আর চিনি হবে না চাষীরা দামও পাবোনা।
শ্রমিকরা আরো বলেন, এই চিনিকল থেকে গতবছরসহ চলতি মৌশুমে আখ চাষের জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেয়া হয়েছে। এই লোন পরিশোধসহ কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মচারীদের কর্মসংস্থান বন্ধ না করে বিকল্প ব্যস্থার দাবি জানান তারা। তাই চলতি মৌশুমে পাবনা সুগার মিলের আখ মাড়াই কার্যক্রম চালু করার জন্য সরকার প্রধানের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
প্রসঙ্গত,১৯৯২ সালে পাবনা চিনিকল প্রতিষ্ঠার পর থেকে চাষীরা তাদের ফসলি জমিতে আখচাষ করে আসছে। সরকারি ভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় সারে ৪শো কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে। জেলায় প্রায় ৬ হাজার একর জমিতে আখচাষ হয়েছে। সম্প্রতি পাবনা সুগার মিলের প্রান্তি আখচাষীদের পাওয়না অর্থের ৩৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের ৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। পাবনা সুগার মিলে এখনো অবিক্রিত চিনি মজুদ রয়েছে প্রায় সারে ৩ হাজার মেট্রিকটন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা। জেলায় তালিকাভুক্ত প্রায় সারে ৬ হাজার আখচাষী রয়েছে। আর পাবনা চিনিকলে শ্রমিক কর্মচারী রয়েছে সারে ৬শো জন।