পাবনায় শান্তিপূর্ণ ভোটেও ভোটার বিমুখ

পাবনা পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চললেও দুপুরের পর থেকেই ভোটকেন্দ্র ফাঁকা হয়ে পড়েছে। ভোটারদের লাইন তো দূরের কথা ভোটারই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালের দিকে শহরের যেসব কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন পাওয়া গেছে সেসব কেন্দ্রেই দুপুরে ভোটার শূন্য অবস্থায় পাওয়া গেছে।

সকালে মধ্য শহরের সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল, আদর্শ গার্লস হাই স্কুল, আর এম একাডেমী, কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই স্কুল ও জেলা স্কুল কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন পাওয়া গেছে। কিন্তু দুপুর ২টার পর এসব কেন্দ্রে ভোটার প্রায় শূন্য হয়ে যায়।

প্রায় ৮ হাজার ভোটারের কেন্দ্র শহরের সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল ঘুরে দেখা যায়, ভোটার নেই। অলস সময় পার করছেন ভোট গ্রহণের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা। যেসব পুলিশ সদস্যরা সকালে ভোটাদের চেকিং করতে হিমশিম খাচ্ছিল তারাই দুপুরে অলস সময় পার করছেন।

এই সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে জানান, সকালের দিকে ভোটারদের প্রচুর চাপ ছিল কিন্তু এখন নেই। এখন পযন্ত এই কেন্দ্রে আনুমানিক ৪০ শতাংশের মতো ভোট কাস্টিং হয়েছে।

তবে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সব প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট ও সাধারণ ভোটারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ ১২ বছর পর, এই প্রথম পাবনায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।

আলোচিত এই নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুতর্জা সনি বিশ্বাস (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরিফ উদ্দিন প্রধান (নারকেল গাছ), বিএনপির মনোনীত জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এডওয়ার্ড কলেজের ভিপি নূর মোহম্মদ মাসুম বগা (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত চৌধুরী মোহম্মদ মাহাবুবুল হক (লাঙ্গল) , ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত আবু বক্কর সিদ্দীক (হাতপাখা)।

এছাড়া জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ২০১৫ সালে নৌকার প্রার্থী মো. রকিব হাসান টিপু এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সরে গেছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জমা দেয়া পাবনা পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি রকিব উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, পাবনা পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ৩৯টি ভোট কেন্দ্রের ৩৪৬টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১ লাখ ১২ হাজার ২৪৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৭৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ