দেশে করোনা ভাইসারের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ৭ হাজার ৮৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা এযাব কালের সর্বোচ্চ। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে। ফলে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়াল ৯ হাজার ২৬৬ জন।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৪৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩০ হাজার ৭২৪টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.০৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৩.১৫ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো ২ হাজার ৭০৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৮২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমকি ৬৮ শতাংশ।
দেশে প্রথম কভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ, মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
>> প্রজ্ঞাপন জারি, মানতে হবে যেসব বিধিনিষেধ
করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বিস্তার রোধে ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে বেশকিছু বিধিনিষেধ সম্বলিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে বলা হয়, সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। বিদেশগামী/বিদেশ ফেরতদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকাল সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, শপিংমল ও অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনের মাধ্যমে পাইকারি ও খুচরা পণ্য বিক্রি করতে পারবে। কর্মীদের সর্বাবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং কোনো ক্রেতা সশরীরে যেতে পারবে না।
খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা বিধিনিষেধ অমান্য করবে, তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।