মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারেরর দাবিতে গড়ে ওঠে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এই আলোচিত ছাত্র নেতা নিজের পাসপোর্ট নিয়ে হয়রানির মুখে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
পাসপোর্ট অধিদফতরসহ নানা জায়গায় ধর্ণা দিয়েও মিলছে না নিজের পাসপোর্ট। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি ব্রেকিংনিউজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক অধিকার, কিন্তু সেই নাগরিক অধিকার আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে!
কেন পাসপোর্ট দেওয়া হবে না, এ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের ডিরেক্টরের সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, মামলা থাকার কারণে পাসপোর্ট ব্লক করেছে কর্তৃপক্ষ! আমি বলেছিলাম, তাহলে বিরোধীদলের নেতারা পাসপোর্ট কিভাবে পেলেন / পান ? তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমার কোন উত্তর নেই। আপনার উত্তর ভাল দিতে পারবে মহামান্য হাইকোর্ট।
এরপর দেশের গণ্যমান্য কয়েকজন ব্যারিস্টারের সাথে যোগাযোগ করি। শুরুতে তারা খুব আন্তরিকতা দেখায়, কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে তারাও পিছিয়ে যায়! তখন নিজেকে সত্যি মাফিয়া মনে হয়! রাষ্ট্রের কাছে কতোটা ভয়ংকর অপরাধী আমরা তা হয়তো পাসপোর্ট করতে না দিলে জানতাম না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে কিন্তু রাষ্ট্রের আমলা ক্লাসের / প্রশাসনের লোকেরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে। তাদের প্রমোশন পেতে আর কোন কোটা লাগে না। অথচ এই আমলা ও প্রশাসনের অধিকাংশ মানুষ আজ নিজের বিবেক দিয়ে কাজ করে না। তাদের বিবেক আজ ভয়ের বাক্সে বন্দি!
ভিপি নুর পাসপোর্ট না পাওয়ার কারণে কয়েকমাস আগেই রিট করেছে, কিন্তু পাসপোর্ট না দেওয়ার কোন উপর্যুক্ত কারণ না থাকলেও “পাসপোর্ট ইস্যু করা হোক” এই মর্মে বিচারকদের কলম চলে না। কেন চলেনা তা গতকাল তো কিছুটা বুঝলেন। পিরোজপুর জেলার আওয়ামীলীগ সভাপতিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনার পর বিচারকোর বদলি! এই হলো আমাদের বিচার ব্যবস্থা ও বিচারকদের স্বাধীনতা!