রাজশাহী গণসমাবেশে কৃষকদলের বিশাল জমায়েত।

পাবনার দুই কৃতি সন্তান কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ খান এবং বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষকদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে রাজশাহীর গণসমাবেশে যোগদান করেছে কৃষক দল।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে দলীয় নেতাকর্মী নিহত, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে এই বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এদিন সকাল ১০টার দিকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের খেলার মাঠে কৃষক দলের নেতাকর্মীরা এসে উপস্থিত হোন। সেখানে কৃষক দলের জন্য নির্ধারিত ক্যাপ পড়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। হাজার হাজার উজ্জেবিত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে গণসমাবেশস্থলের দিকে রওনা হোন। মিছিলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন। এসময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় রাজশাহীর সড়কপথ গুলো।

পরে গণসমাবেশের মঞ্চে বক্তব্য দেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন। তিনি বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আজকে রাজশাহী বিভাগের মানুষ প্রমাণ করেছে রাজশাহী বিভাগ বিএনপির ঘাঁটি। এই গণসমাবেশে প্রমাণ হয়েছে রাজশাহী বিভাগ বেগম খালেদা জিয়ার ঘাঁটি, তারেক রহমানের ঘাঁটি। এই মুহুর্তেও যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে রাজশাহীর প্রত্যেকটি আসন বিএনপির দখলে যাবে। আগামী ১০ তারিখের ঢাকার গণসমাবেশ থেকে আমাদের নেতা তারেক রহমান যে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। সেই কর্মসূচি আমাদের রাজশাহী বিভাগের মানুষ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাস্তবায়ন করবে ইনশাআল্লাহ।’

এর আগেরদিন পাবনার দুই কৃতি সন্তান কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ খান রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে উপস্থিত হোন। সেদিনও হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নামে। নেতাকর্মীরা মিছিল-সহকারে তাদের হোটেল পর্যন্ত পৌছে দেন।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ