গত ৮ মার্চ প্রথম শনাক্তের পর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। প্রতিটি জেলায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে শতাধিক করে।
শনাক্তের পর গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর দেশে করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে ১ হাজার ৫৮২ জনে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় সব জেলায়। কিন্তু এখনও ৪টি জেলায় মৃত্যু হয়নি।
জেলা চারটি হল- জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও সাতক্ষীরা। এ জেলাগুলোতে সুস্থতার হারও অন্যান্য জেলার তুলনায় ভালো।
মৃত্যু এড়ানোর কারণ বিষয়ে জেলাগুলোর সিভিল সার্জনরা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানা, কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা, বাইরের জেলা থেকে আসা মানুষকে দ্রুত শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা ও আক্রান্ত রোগীদের ভালোভাবে যত্ন নেয়া।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এ সব সম্ভব হয়েছে বলেও জানান জেলাগুলোর সিভিল সার্জনরা।
জয়পুরহাট জেলাটিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এদের মধ্যে ১৬২ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলাটিতে ৬৫ শতাংশ রোগী দ্রুত সুস্থ হয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাটিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ জন। এদের মধ্যে ৫৭ জনই সুস্থ হয়েছেন। জেলাটিতে শুরু থেকেই শতভাগ কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার সিভিল সার্জন।
কুড়িগ্রাম এই জেলায় কঠোর লকডাউন মানা হয়েছে। তাই ফলও মিলেছে ভালো। জেলাটিতে এখন পর্যন্ত ১২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
সাতক্ষীরা এই জেলায় করোনায় আক্রান্ত ১০৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন। তবে সুস্থতার হার কম হলেও কেউ আশঙ্কাজনক নয়। জেলাটির সিভিল সার্জন জানান, ঈদের ছুটিতে আক্রান্ত বেড়ে গেছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষ আসায় আক্রান্তের হার বেড়েছে।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।