যানজট-জলাবদ্ধতা ও ফুটপাত দখলে অতিষ্ট পাবনা শহরবাসী!

অটো বাইক আর ব্যাটারি চালিত রিক্সায় পাবনা শহরবাসীর দুর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে। অল্প বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা আর ফুটপাতে মৌসুমি ও ভ্রাম্যমাণ হকারদের উপদ্রপ প্রতিদিনের।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পাবনায় পৌরসভার জন্ম  ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে। প্রায় ২ লক্ষ মানুষের বসতি এই পৌরসভা ঘিরে। সিসি রাস্তা ৪ দশমিক ৩০ কিমি, কার্পেটিং ১ শ’৫১ কিমি, হেরিংবোন ১৭দশমিক ৯০ কিমি ও কাঁচা রাস্তা ১৮দশমিক ৮ কিমি। পৌর এলাকায় পাকা ড্রেনেজ ব্যবস্থা ১শ’২০ কিলোমিটার আর কাঁচা ড্রেনেজ ব্যবস্থা ২২ কিলোমিটার।

পৌরসভার হিসেব মতে, ব্যাটারি চালিত অটোবাইক ২হাজার ৫শ’ আর অটোরিক্সা ২হাজার ৫শ’৫০ টি চলাচল করছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও নাগরিক সুযোগ সুবিধা শতভাগ এখনও আসেনি। 

পাবনা সরকারি বুলবুল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ  প্রফেসর শিবজিত নাগ বলেন,যানজটের প্রধান অন্তরায়  ব্যাটারি চালিত অটোবাইক ও অটোরিক্সা। শহর যানজট মুক্ত করতে হলে সুপরিকল্পিত ভাবে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।পাবনা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি সৈকত আফরোজ আসাদ বলেন,ভারী বৃষ্টি হলেই পৌরসভার অনেকখানি অংশ পানির নিচে চলে যায়।পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। পৌরবাসী বর্ষা মৌসুমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

এদিকে পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, শহরের প্রাণ কেন্দ্র হামিদ রোড কেন্দ্রিক দোকানপার্টের মালিকরা দিন, সাপ্তাহিক ও মাসিক চুক্তিতে দোকানের সামনে ফুটপাত ভাড়া দিয়ে আসছেন। এমন অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা চেম্বারের পক্ষ থেকে একটি উপকমিটি করে দিয়েছি। ওই কমিটি প্রাথমিক ভাবে ব্যবসায়ীদের ফুটপাত ভাড়া থেকে বিরত এবং মুক্ত রাখতে সর্তক করে দিচ্ছেন। তারা যদি না মানেন, তাহলে আমরা শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম শহরে তীব্র যানজটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওয়ান এলিভেনের সময়ে যানজট নিরসনে শহরের প্রধান রাস্তার দু’পাশ প্রশস্ত করার  উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সেটা আর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।জেলা পুলিশের বেশ কিছু কর্মিসহ পৌরসভা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মিরা যানজট নিরসনে কাজ করছে।

পাবনা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার জিয়াউল ইসলাম পলাশ জলবদ্ধতায় শহরবাসীর দূর্ভোগের শেষ নেই এমন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাজেট না থাকায় যুগোপযোগী ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু বললেন,পৌরসভার পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ে বাজেট চাওয়া হয়েছে। কাঙ্খিত বাজেট পেলেই নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

আর জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ শহরের ফুটপাত দখল প্রসঙ্গে  বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই ফুটপাত দখল মুক্ত করতে ভ্রাম্যমান আদালত ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ