আর্থ-সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে এক সাথে কাজ করার মহৎ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারত ও বাংলাদেশের নেতারা। ফলে নিজেদের পারস্পরিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় লিখিত হচ্ছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত কয়েক বছর ধরে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে এক সোনালি অধ্যায় লেখা হচ্ছে।’
সোমবার (২৭ জুলাই) দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে ১০ টি ব্রড গজ লোকোমোটিভ বাংলাদেশের হাতে হস্তান্তরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।
ড. মোমেন বলেন, পারস্পরিক মূল্যবোধ, আদর্শ ও আত্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। রাজনীতি, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানি বিদ্যুত, জ্বালানি, পরিবহন নিরাপত্তাসহ জীবনের সকল স্তরেই এর প্রভাব রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরো উন্নত হবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।
আমরা বিশ্বাস করি, সংযোগই উন্নতি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে সড়ক, রেল, নদীপথে যোগাযোগের পাশাপাশি মানুষের হৃদয়ের সংযোগ বাড়ানোরও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত বাংলাদেশ-ভারত ‘কালোত্তীর্ণ’ সম্পর্কের গভীরতা বা ব্যাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।
একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের রেল, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, বাংলাদেশের রেলওয়ে মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এবং ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী অঙ্গদী সুরেশ।