সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন এবিএম দোহা।
বুধবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতরের একাধিক সূত্র ব্রেকিংনিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেনের বিষয় এখনো পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তদন্ত শেষে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নকে (র্যাব) নির্দেশ দেন। এরপরই পুলিশ সদর দপ্তর ওসি প্রদীপকে বদলির সিদ্ধান্ত নিলো।
এর আগে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
মামলায় বাহারছরা তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। তারা ছাড়াও আরও সাতজনকে এজহারভূক্ত আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ এস আই লিটন মিয়া, এ এস আই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একইদিন দুপুরে সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশ প্রধান বেনজির আহমদ কক্সবাজার পরিদর্শন করেন।
ব্রেকিংনিউজ/টিটি/ এসএ