প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন ঢাকা-আসনে (ধানমণ্ডি) উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি।
রবিবার (১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় নির্বাচনী এলাকা ধানমণ্ডি ১৫ নম্বর নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে থেকে তিনি গণসংযোগ শুরু করেন। প্রথম দিনের প্রচারেই জনতার ঢল নামে।
গণসংযোগকালে রবিউল আলম বলেন, ‘বর্তমান সরকার বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। বিএনপি জনগনের সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আর এর অংশ হিসেবেই নির্বাচনী যুদ্ধে আমরা নেমেছি। এই যুদ্ধে জনগনই আমাদের একমাত্র সঙ্গী।’
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা অকার্যকর করেছে বলেই আজ ভোটের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। সরকারই কেবল নয়, এর সাথে যুক্ত হয়েছে নির্বাচন কমিশনও। তারাও ভোটারদের মাঝে আস্থা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা ভোটে থাকছি। মানুষকে ভোটে উদ্বুদ্ধ করছি।’
রবি বলেন, ‘সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে। আশা করছি- ঢাকা-১০ আসনের জনগণ বর্তমান দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে আমাকে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাবে।’
বিএনপি চেয়ারপাসরন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে রবি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে সরকার প্রতিহিংসার নগ্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা গণতন্ত্র ও নেত্রীর মুক্তি নিশ্চিত করতে রাজপথ, সংসদ সবখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’
ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, ‘ঢাকা-১০ আসনের মানুষের সাথে আমার নারীর সম্পর্ক। আমার আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমি দীর্ঘ ২৮ বছর মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করছি। জাতীয় ও সামাজিক সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাই আমাকে তারা নির্বাচিত করবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
ধানমণ্ডি-১৫ নম্বর রোড থেকে গণসংযোগ শুরু করে স্টাফ কোয়াটার, নতুন রাস্তা, হাজী আবসার রোড, মনেশ্বর রোড, ট্যানারি মোড়, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড, সাত মসজিদ রোড, বাংলাদেশ আই হাসপাতাল হয়ে ধানমন্ডি রূপালী ব্যাংকের সমানে এসে এক সংক্ষিপ্ত পথ সভার মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের গণ সংযোগ শেষ করেন রবিউল আলম।
গণসংযোগে অংশ নেন অংশ নেন ধানমন্ডি থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাবিরুল হায়দার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন সৈকতসহ যুবদল, শ্রমিক দল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।