মধ্যরাত থেকে নামতে পারে বৃষ্টি

আগামী বুধবার মধ্যরাত থেকে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও পরবর্তীতে বাড়বে শীত ও কুয়াশা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, পাবনার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে। আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। ফলে পৌষের শেষে কনকনে ঠান্ডা এবং বাতাসে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন।

আর আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে এ ধরনের বৃষ্টি হয়। দিনের যে কোনো সময়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হবে। এতে মাঘ মাসের শীতের অনিুভূতি বেশি হবে।

বৃষ্টির পর শুক্রবার থেকে ফের আরেক দফা শীতের প্রকোপ বাড়বে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ। মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র শীত বেড়েছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলে।

আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, শ্রীমঙ্গল, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁ অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আব্দুর রহমান বলেন, পরবর্তী সময়ে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে। এ সময় মধ্যরাত থেকে দুপুর নাগাদ কোনো কোনো এলাকায় ঘন কুয়াশা বিরাজ করবে। জানুয়ারি মাসটা এভাবে শীতের প্রকোপ থাকবে। তারপর আগামী মাসে শীত বিদায় নেবে।

বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে মৃদু; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।

গত ১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় ১৯ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

মধ্য জানুয়ারিতে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। ১৫ জানুয়ারি বদলগাছিতে থার্মোমিটারের পারদ নেমে যায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলমি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ