ভ্যাকসিন নিয়ে ‌‘সুখবর’ দিল মার্কিন কোম্পানি ফাইজার

একটি কার্যকর ভ্যাকসিনের জন্য দিশেহারা বিশ্ববাসীকে এবার করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর দিল ফাইজার। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিটির দাবি আর মাত্র দুইমাস পরেই অর্থাৎ চলতি বছরের অক্টোবরেই মিলবে করোনা ভাইরাসের কার্যকর ভ্যাকসিন।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা এক সাক্ষাৎকারে এতথ্য জানিয়েছেন। খবর টাইম অনলাইনের।

ভ্যাকসিনটি তৈরি নিয়ে জার্মান কোম্পানি বায়ো এনটেকের সঙ্গে কাজ করছে ফাইজার। সম্প্রতি ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ইতিবাচক ফল পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।

অ্যালবার্ট বোরলা বলেন, ‘অক্টোবর মাস নাগাদ আমাদের ভ্যাকসিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়ে যাব। সেপ্টেম্বরে আমরা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার ফল জানতে পারব।’

জার্মান সংস্থা বায়ো এন টেককে সহযোগী করে এ ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার। তাদের দাবি করে, করোনার জীবাণুকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন। এটি স্বাস্থ্যবান মানুষের মধ্যে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তবে এটি বেশি মাত্রায় দেওয়া হলে জ্বরসহ অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

বোরলা বলেন, ‘এর আগে কোনো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে এমআরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি। চলতি মাসের শেষ দিকে বড় আকারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিশ্বের ১৫০টি স্থানে ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হবে।’

ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটি বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। এবিষয়ে বোরলা জানান, এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডোজ বিক্রি নিয়ে বাণিজ্যিক আলোচনা করছে ফাইজার। তবে এফডিএ অনুমোদন দিলে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করবে।

বিশ্বে যেকটি ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা চলছে তার মধ্যে ফাইজারের ভ্যাকসিন অন্যথম। ভ্যাকসিনটি প্রথম ক্লিনিক্যাল তথ্য গত ১ জুলাই ‘মেডআরএক্সআইভি’ সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়। ইতিবাচক ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বার্ষিক ভ্যাকসিন ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১০ কোটি করেছে।

ব্রেকিংনিউজ/ এসএ 

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ