বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে দিশেহারা মানুষ। মরণঘাতি এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে একটি কার্যকরি ভ্যাকসিনের জন্য সবকিছুই করছেন বিশ্বের সমস্ত বিজ্ঞানীরা। তবু্ মিলছে না একটি ভ্যাকসিন।
তবে কিছু ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী গবেষকরা। এর মধ্যে অন্যতম ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন। শতাধিক ভ্যাকসিনের মধ্যেই এটি সবচেয়ে এগিয়ে।
এবার এই ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবরই দিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তারা জানিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরেই মিলবে তাদের ভ্যাকসিন। আর এ টিকার দাম পড়বে মাত্র এক কাপ কফির দামের সমান।
শুধু অক্সফোর্ড নয়, দুইদিন আগেই অবশ্য এরকম সুখবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, তারাও আগামী অক্টোবরেই ভ্যাকসিন নিয়ে আসছে।
তবে এগিয়ে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন। তাদের ভ্যাকসিন এখন চলছে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ফলাফল বা কার্যকারিতার বিষয়টি আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ জানা যাবে। পরীক্ষায় সফলতার প্রমাণ পাওয়া গেলেই নিয়ন্ত্রকরা জরুরি ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে দেবে। অর্থাৎ অক্টোবরের মধ্যেই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীরা এ ভ্যাকসিন পাবেন।
যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কেট বিনহ্যাম বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে অক্সফোর্ড। অন্য ভ্যাকসিন তাদের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়ে যেতে পারে।
ইতোমধ্যেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি আন্তর্জাতিকভাবে দ্রুত সরবরাহের জন্য সাপ্লাই চেইন তৈরি করছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, ইতিমধ্যে ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির ফরমায়েশ পেয়েছেন তারা। প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম এক কাপ কফির দামের সমান হতে পারে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকল সারিওট বলেন, তাদের ভ্যাকসিন এক বছর পর্যন্ত কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবরেই ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু হবে।