বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি ঘোষণা করেছে দেশের আমদানিকারক। আনুষ্ঠানিক না হলেও অঘোষিত হিসেবে দেশের সব স্থল বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে খুশি দেশের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল পাবনার কৃষকরা। সম্প্রতি পাবনায় পেঁয়াজের বাজারে ধস নেমেছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে খ্যাত পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে আগাম আবাদ করা ((মূলকাটা) পেঁয়াজের বাজারে ধস নেমেছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমদানি করা পেঁয়াজ এবং দেশি পেঁয়াজের দাম সমান হওয়ার কারণে ক্রেতারা ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ কিনতে চাচ্ছেন না। এ কারণেই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। আর চাহিদা কমে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে কোনও ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না। কারণ দেশে এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম।
পেঁয়াজের ওপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশ ও ভারতে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম এখন সমান। দুদেশের পেঁয়াজের দামে কোনও পার্থক্য নাই। স্বাদে অতুলনীয় বলে ক্রেতাদের আগ্রহ দেশি পেঁয়াজের প্রতি। আপাতত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছেন সেখানকার আমদানিকারকরা। তবে ঘোষণা না দিলেও দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়েও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসছে না বলে জনিয়েছে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানান, দাম যদি দেশি পেঁয়াজের তুলনায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের বেশি হয় বা সমান হয়, তাহলে কি কারণে ক্রেতারা তা কিনবেন? যেকোনও বিচারে আমদানি করা পেয়াজের তুলনায় দেশি পেঁয়াজ উত্তম।
উল্লেখ্য, দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা না থাকায় গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কোনও আমদানি হয়নি। একইসঙ্গে দেশের বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়েও কোনও ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না।
ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্য, পরিবহন খরচ ও বাংলাদেশের ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক যুক্ত করে বর্তমানে ভারত থেকে আমদানির পর প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। আর দেশের বাজারে প্রতি কেজি এই পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৩ টাকা করে। আর ক্রেতারা দেশীয় পেঁয়াজ বাজার থেকে কিনছেন ৪০ টাকা দরে।