অতি সংক্রমণশীল করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ বা ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) গোটা পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এজন্য আগে যে ডোজগুলো মানুষের শরীরের দেয়া হয়েছে সেগুলোর কার্যকরিতা যেন শেষ না হয়ে যায় এজন্য বুস্টার ডোজকে জোরালো করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।
যাদেরকে দেয়া হবে বুস্টার ডোজ
প্রথমে এ টিকা পাবেন সম্মুখসারির ব্যক্তিরা (চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি)। এরপর ধাপে ধাপে অন্যরা পাবেন। যারা টিকার দুই ডোজ নিয়েছে, পর্যাক্রমে তারা এই ডোজ পাবে। বিশেষ করে যাদের টিকা নেয়ার সময় ছয় মাস বা এক বছর হয়ে গেছে, প্রথমে তারাই এই ডোজ পাবেন।
বুস্টার ডোজ আবেদন করার নিয়ম
টিকা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগে যারা দুইটি ডোজ সম্পন্ন করেছেন তারা এই ডোজ পাবেন। এ জন্য পুনরায় সুরক্ষা অ্যাপে বুস্টার ডোজের জন্য আবেদন বা নিবন্ধন করতে হবে না। সুরক্ষা অ্যাপে ইতোমধ্যে নিবন্ধনধারীদের তথ্য রয়েছে। টিকাগ্রহীতাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর রয়েছে অ্যাপে। এ ক্ষেত্রে যারা বুস্টার ডোজ পাবে, তাদের কোথায় কবে আসতে হবে, সেটি এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
যেকোনও ভ্যাকসিন নিতে পারবে?
এর আগে ফাইজার ছাড়াও মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্মসহ কয়েক ধরনের টিকা দেওয়া হয়েছে। যারা ফাইজার ছাড়া অন্য টিকা নিয়েছে, তারা ফাইজারের বুস্টার ডোজ নিতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফাইজারের এই ডোজ নিলে কোনো সমস্যা হবে না। বরং অন্য টিকা যারা নিয়েছে, ফাইজারের বুস্টার তাদের জন্য আরো ভালো কাজে দেবে।’
বুস্টার ডোজের টিকার সনদ
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেবার সময় যে টিকা কার্ড দেয়া হয়েছে আপাতত বুস্টার ডোজেও সেই কার্ডটিই কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই ডোজের ক্ষেত্রেও আগের মতোই মোবাইল ফোনে এসএমএস বার্তার মাধ্যমে টিকার দিন জানানো হবে। সুরক্ষায় সংযুক্তি না হওয়া পর্যন্ত টিকা সনদপত্র পাওয়া যাবে না। আপাতত কেন্দ্র থেকে টিকা কার্ডে তথ্য হাতে লিখে দেয়া হবে।
………………………………>
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং পাবনার খবরাখবর রাখুন