নানা শঙ্কা-আশঙ্কা কাটিয়ে অবশেষে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো দেশব্যাপী আলোচিত পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখন চলছে গণণা।
১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮ কেন্দ্রের ফলাফল (অসমর্থিত সূত্রে) আমাদের হাতে এসেছে। এতে ঘোড়া প্রতীকের মো. সুলতান মাহমুদ খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৪০ ফোট এবং নৌকা প্রতীকের আবু সাঈদ খান পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৬৪।
এর আগে বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বহু প্রতীক্ষিত এই ভোটগ্রহণ, বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল। পুরুষ ও নারী উভয় ভোটারদের ছিল লম্বা লাইন। নানা শঙ্কার মধ্যেও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তারা উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
এদিকে ভোটকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে গোটা ভাঁড়ারা ইউনিয়ন। ৫ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সন্দেহভাজনদের করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ, ডিবি, র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো।
গত ডিসেম্বরে প্রচারণাকালে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহতের ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচনায় আসে ইউনিয়নটি। ফলে এবার ভাঁড়ারার দিকে তাকিয়ে পাবনাবাসীসহ গোটা বাংলাদেশ, তাই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। স্মরণকালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে গোটা ভাঁড়ারা ইউনিয়ন জুড়ে।
আতঙ্কের জনপদ খ্যাত এই ইউপিতে ৩৮ হাজার ২শ ৫৭ জন ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার ১৮ হাজার ২৯৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ১৯ হাজার ৯৬৪ জন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্দ্বিতা করছেন ২ জন প্রার্থী। আর ৯টি সাধারণ ও ৩টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৩ জন, এর মধ্য নারী সদস্য পদে ১৩ জন এবং পুরুষ সদস্য পদে ৪০ জন প্রার্থী। এই ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৬টি, বুথ রয়েছে ১০৪টি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার সময় পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ খান (৫২) ওরফে সাঈদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৩৫) নিহত হন। এঘটনায় ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সব (চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য, সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য) পদের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে গত ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে ১৫ জুন ভোটগ্রণের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়।