স্বাস্থ্যসেবায় জালিয়াতির অন্যতম হোতা রিজেন্ট হাসপাতালের মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের নানা অপকর্ম অনেক পুরনো। এই বিতর্কিত সাহেদ কিভাবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটিতে ঢুকে পড়েছিলেন, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
এই সাহেদ ফেইসবুক পেইজে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। সাহেদের অনিয়ম ও জালিয়াতি প্রকাশের আগেও সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, সরকারি আমলাদের সঙ্গে নিজের অসংখ্য ছবি দেখা গেছে তার ফেসবুকে।
সাহেদকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটি কোনো বৈঠকে দেখা যায়নি বলে উপ-কমিটির অনেকেই দাবি করেও তা সত্য নয়। গণমাধ্যমের কাছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠকে সাহেদের উপস্থিতির ছবিও রয়েছে। রয়েছে কমিটিতে তার নামের তালিকাও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও উপ কমিটির সদস্য সচিব শাম্মী আহমেদ বলেন, সে (সাহেদ) আমাদের বর্তমান কমিটির সদস্য নয়, নতুন কোনো খসড়া কমিটি আমরা করিনি।
তাহলে নিয়মিত বৈঠকে আসতেন কী করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে একজন সম্মানিত ব্যক্তির মাধ্যমে সে বৈঠকে আসত, তখন আমি তো তাকে বৈঠক থেকে বের করতে পারি না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রতারক, ধোঁকাবাজ, মানুষ নামের কলঙ্ক, যাদের কোনো রাজনৈতিক ঐতিহ্য-ইতিহাস নেই, মানুষের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে, হুমকির মুখে ফেলে দেয়, তাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে এই ধরনের সাহেদদের কঠোরভাবে দমন করতে হব।
যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় সাহেদ ওই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পেরেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, নাজমুল হুদার সাথে তার খাওয়ার ছবি রয়েছে। এ ধরনের নব্য আওয়ামী লীগাররা দেশ ও দলের ক্ষতি করছে বলেও মন্তব্য করেন বাহাউদ্দিন নাছিম।