বাংলাদেশে চীনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন, আগস্টেই শুরু

বাংলাদেশে নিজেদের আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ট্রায়াল দিতে চেয়েছিল চীন। অবশেষে দেশটির একটি কোম্পানির ওই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)।

রবিবার (১৯ জুলাই) বিকেল গণমাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করেন.বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) পরিচালক ডা. মাহমুদ উজ জাহান।

এর ফলে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটি ট্রায়াল হতে আর বাধা থাকলো না। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) এই পরীক্ষা চালাবে। আগামী মাসে ট্রায়াল শুরু হতে পারে।

তবে ডা. মাহমুদ বলেন, আইসিডিডিআরবি একটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে করতে চাচ্ছে। নিয়ম হচ্ছে যে কোনও ট্রায়ালের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয় বিএমআরসি। তারা আমাদের কাছে এই ট্রায়ালের অনুমতি চেয়েছিল, আমরা এটা যাচাই-বাছাই করে, রিভিউ করে অনুমোদন দিয়েছি। তবে মাত্রই আমাদের মিটিং হলো, আইসিডিডিআরবিকে এখনও অফিসিয়াল চিঠি দিয়ে জানাইনি। তবে যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাই বলা যাচ্ছে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আইসিডিডিআর’বি জানায়, চীনের সিনোভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ভ্যাকসিনটি ঢাকার ৮টি কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের সাড়ে ৪ হাজার কর্মীর ওপর ট্রায়াল চালানো হবে।

ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সাধারণত তিনটি ধাপ অনুসরণ করা হয়। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপ বেশি চ্যালেঞ্জিং। এই দুই ধাপে একসঙ্গে অনেক মানুষকে যুক্ত করা হয়। চূড়ান্ত ঝুঁকি এখানেই বোঝা যায়।

তবে বাংলাদেশে ঠিক কোন ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল দিতে চায় চীন, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি। চীন বলছে- চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা সামনের বছরের শুরুতে সিএনবিজির ভ্যাকসিন বাজারজাত করা হবে। ইতিমধ্যে দেশটির কর্মকর্তারা কথা দিয়েছেন প্রথম যে দেশগুলো ভ্যাকসিন পাবে, বাংলাদেশ তার ভেতর থাকবে।

ব্রেকিংনিউজ/ এসএ 

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ