প্রেম-বিয়ের সম্পর্ক: জীবন দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ ঈশ্বরদীর ২ তরুণ

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ গলায় ফাঁস নিয়ে ২ জনের আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রেম-বিয়ের সম্পর্কের টানাপোড়নে এই আ*ত্মহ*ত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ, পরিবার ও এলাকাবসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ও বিকেলে পৌর সদরে পৃথক এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। পৌর এলাকার বাবুপাড়া রেল কলোনী মহল্লার মৃত ফজলুল হকের ছেলে সোহেল আফ্রিদি (২৩)। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিার্থী। অপরজন পৌরসভার রহিমপুর মহল্লার রেজউল করিমের ছেলে মনির হোসেন (১৮)।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, দুপুরে আফ্রিদিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। বিকেলে মনিরকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো দেখেন স্বজনরা। ঘটনা ঈশ্বরদী থানায় জানালে পুলিশ এসে পৃথক স্থান থেকে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুম পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, ২০১৬ সালের প্রেমের বিয়ে থেকে স্ত্রীর সাথে আফ্রিদির সম্পর্কের টানাপোড়েন দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সেকারণেই হয়তো তিনি  অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

অপরজন মনিরের ঢাকায় থাকা অবস্থায় একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই সপ্তাহ আগে বেশী বয়সের এক মেয়েকে ঢাকা থেকে বিয়ে করে ঈশ্বরদীর বাসায় নিয়ে আসেন। এরপর তাদের মধ্যে শুরু দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। দুইদিন আগে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে স্ত্রী রাজশাহীর বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় অভিমানে মনির আত্মহত্যা করেন।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার সময় তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, দু’জনই আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মুল কারণ জানা যাবে।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ