প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নিজের প্রাইভেট ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়া পাবনার বেড়া উপজেলার সেই শিক্ষক হাসমত হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এসময় ১০ম শ্রেণির সেই ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে বেড়া মডেল থানা পুলিশ। এর আগে শনিবার (১৪ মে) নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার একটি গুচ্ছগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ছাত্রীর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদীর জেলা পুলিশের সহায়তায় পলাশ উপজেলা থেকে তাদের আটক করে বেড়ায় নিয়ে আসা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাসমত হোসেন উপজেলার নতুনভারেঙ্গা ইউনিয়নের বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি ঐতিহ্যবাহী ভারেঙ্গা একাডেমির সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। আর ছাত্রী মায়া খাতুন ওই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ভারেঙ্গা একাডেমির সহকারী শিক্ষক হাসমত হোসেনের কাছে নিজ বাড়িতে প্রাইভেট পড়তো একই প্রতিষ্ঠানের ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রী। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার (৯ই মে) ওই ছাত্রী যথারীতি স্কুলে যায়। তবে স্কুল ছুটির পর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার অভিভাবকরা দুদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করছেন। পরে ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিভাবকরা গৃহশিক্ষক হাসমত হোসেনের কাছে ফোন করেন। তিনি ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং তাকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। এ ঘটনায় গত বুধবার ছাত্রীর বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক হাসমত হোসেন সাত বছর আগে বেড়ার উপজেলার বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত হিরা মিঞার মেয়ে খাদিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এবিষয়ে নতুন ভারেঙ্গা একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বলেন, ‘প্রায় এক যুগ ধরে হাসমত এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আগে কখনো এমন আচরণ তার মধ্যে লক্ষ্য করিনি। তিনি এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন যে, আমরাও সামাজিকভাবে লজ্জার মধ্যে পড়েছি। ঘটনাটি জানার পর তার (অভিযুক্ত শিক্ষক) সঙ্গে পুলিশ ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কথা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’