আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আবুধাবি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছেন; সিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে হবে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমার চাই একটা ভালো ইলেকশন হোক। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ বা বির্তকিত নির্বাচন করতে চাই না।’
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট সকলের নাম উচ্চারণ করে বলেছেন, দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন,
নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে আমরা ভোট করবো। ইলেকশনে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি বা হস্তক্ষেপ যাতে কেউ না করেন। জনগণের যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। ফলাফল যাই আসুক আমরা জনগণের রায় মাথা পেতে মেনে নিব।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন আমরা চাই, তাতে রেজাল্ট যাই হোক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমি সকলকে জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার সঙ্গে যারা জড়িত, যারা প্রার্থী তাদের সকলকে জানিয়ে দিয়েছি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ফ্রী এন্ড ফেয়ার ইলেকশন। নির্বাচন ফ্রী- ফেয়ার করার জন্য ইলেকশন কমিশন যত প্রচার সাহায্য সহযোগিতা চায়, আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাব।’
‘বিএনপি অভিযোগ করেছে তাদের দলীয় প্রার্থীর ওপরে হামলা হচ্ছে এ বিষয়ে ইলেকশন কমিশন (ইসি) ও সরকার নির্বিকার এ কারণে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হচ্ছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ আমাদের প্রার্থীও করেছে। নৌকার প্রার্থীদের ওপরে হামলা হয়েছে। পুরান ঢাকা আওয়ামী লীগের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এখন ইলেকশন কমিশন দায়িত্বে রয়েছেন। কাজেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেয়ার মালিক হচ্ছে ইলেকশন কমিশন। যদি কোনো পক্ষ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে, ইলেকশন কমিশন। সেটা সরকারি দলের হোক, বিরোধী দল হোক বা যে দলের হোক।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে নির্বাচন পেছানোর দাবি রয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বিষয়টি এন্টারলি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। ইলেকশন কমিশন তারাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সরকারের ইলেকশন পরিচালনা বিষয় নয়। ইলেকশনের তারিখ সিডিউল, আরচণবিধি সরকারের কোনো বিষয় নয়। কারো দাবির পরিপেক্ষিতে নির্বাচন পিছানো ইলেকশন কমিশনের বিষয়।