ঐীতহ্যবাহী পাবনা প্রেসক্লাবের পর পর দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি তিনবারের নিবাচিত সাধারণ সম্পাদক প্রতিথযশা সাংবাদিক এবিএম ফজলুর রহমানের নামে ভয়ানক প্রতারক, জালিয়াত, চরিত্রহীন ও আদম ব্যবসায়ী মোল্লা কফিল কর্তৃক মিথ্যে, কুরুচিপুর্ন ও কাল্পনিক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাবনা প্রেসক্লাব।
এ ছাড়া পাবনা প্রেসক্লাব অবিলম্বে মোল্লা কফিলের গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে। রোববার রাতে পাবনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় বলা হয়, মোল্লা কফিল কখনও ভিসি, কখনও ডক্টর, কখনও এমফিল, কখনও সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা কখনও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক আবারও কখনও আদম ব্যবসায়ী পরিচিয়ে দীর্ঘীদন ধরে পাবনার বেড়ার নাকালিয়া, পাবনা শহর এবং সারা দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। সে কথিত মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্যারা মেডিকেল, নার্সিং ইন্সটিটিউট, বিএড, এমএড, টেকনিক্যাল স্কুল, টেক্সটাইল স্কুল এন্ড কলেজ, কৃষি কলেজ, ক্লিনিক সহ যেখানে যা দরকার সেখানে সে প্রতিষ্ঠানের পরিচয় দিয়ে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। দুদকের মামলায় স্ত্রীসহ একাধিকবার জেল খাটলেও আবারও নতুন উদ্যোগে শুরু করেছে প্রতারণার ফাঁদ। পাবনার বেড়া উপজেলার নাকালিয়া একটি জমি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অন্তত অর্ধ শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড টানিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির কথা বলে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে শত কোটি টাকা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সে সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত সভাপতির নামে বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড ও ফেসবুকে মিথ্যে প্রচারণা চালিয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া ৬২ বছর বয়সের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের নামে কালিমা লেপন করেছে।
সভায় বলা হয়, মোল্লা কফিল এবং তার পেছনের কুশিলবরা পাবনা শহরের অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানাবিধ মিথ্যে প্রচারনা চালাচ্ছে। দুদকের মামলায় কয়েকবার গ্রেফতারের পরেও আইনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে একের পর এক নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তার প্রতিষ্ঠিত যে সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোতে অভিযান পরিচালনা ও কাগজপত্র পরীক্ষা করে শান্তির দাবী জানিয়েছে প্রেসক্লাব। সভায় বলা হয়, অবিলম্বে মোল্লা কফিলকে গ্রেফতার করা না হলে পাবনা প্রেসক্লাব, জেলার সকল সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, সুশিল সমাজ, ব্যবসায়ী ও সুধি সমাজকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে ধারবাহিক আন্দোলন করা হবে।
পাবনা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি দৈনিক পাবনার আলোর সম্পাদক মীর্জা আজাদ, সহসভাপতি দৈনিক নতুন বিশ্ববার্তার সম্পাদক শহীদুর রহমান শহীদ, সহ সম্পাদক ও প্রথম আলো প্রতিনিধি সরোয়ার উল্লাস, কল্যাণ সম্পাদক ও বাসস ও ভোরের কাগজ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, কোষাধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি শুশিল তরফদার, ক্রীড়া সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি কলিট তালুকদার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধি ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল, দফতর সম্পাদক ও দি বাংলাদেশ পোষ্ট প্রতিনিধি কানু সান্যাল, প্রেসক্লাবের কার্যকরি সদস্য ও দৈনিক জোড়বাংলা প্রতিনিধি আ¦দুল মতীন খান, কার্যকরি সদস্য ও দৈনিক বিবৃতি সম্পাদক ইয়াসিন আলী মৃধা রতন, কার্যকরি সদস্য ও দৈনিক কালবেলা স্টাফ রির্পোটার জহুরুল ইসলাম, কার্যকরি সদস্য ও দৈনিক মানবজমিন ও একুশে টিভির স্টাফ রির্পোটার রাজিউর রহমান রুমী, কার্যকরি সদস্য ও দৈনিক ভোরের ডাক প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ এবং কার্যকরি সদস্য ও দৈনিক আজকের ইতিহাস সম্পাদক আবু হাসনা মুহাম্মদ আইয়ুব।
সভায় আরও বলা হয়, দুর্ধর্ষ এই আর্ন্তজাতিক প্রতারক ও জালিয়াত মোল্লা কফিলের প্রতারনার স্বীকার হাজারো মানুষ নি:স্ব হলেও দেখার কেউ নেই। কফিল কখনো ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, কখনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে বেড়াসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড ও পোষ্টার সাটিয়েছে। যা বঙ্গবন্ধু মোমেরিয়ার ট্রাষ্টের এখতিয়ার বহির্ভুত। সভায় বলা হয়, এই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে উদ্ভুত যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার জন্য সংশ্লিষ্টরাই দায়ী থাকবেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি