পাবনা-৪ আসনে জেলা আ.লীগের সভাপতির বিলবোর্ড লণ্ডভণ্ড, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাবনা-৪ আসনে (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) টাঙানো পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল রহিম লালের ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। ঈশ্বরদী উপজেলা ব্যাপী সাটানো বিলবোর্ড গুলো রাতের অন্ধকারে ছিড়ে লন্ডভন্ড করেছেন দূবৃত্তরা।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিলবোর্ড ভাংচুরের চিত্র দেখা যায়। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতের কোন এক সময় করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্হানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, উপজেলায় সাটানো সমস্ত বিলবোর্ড গুলোই ছেঁড়া হয়েছে। তবে বিলবোর্ডের আশপাশের কেউই এ বিষয়ে নিদৃষ্টকরে কিছুই বলেননি।

বিলবোর্ড ছেড়া হয়েছে, কে বা কাহারা করেছে জানতে চাইলে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল হাসতে হাসতে বলেন, ঈশ্বরদীতে আমার বিলবোর্ড সাটানোতে অনেকেই ভেবেছেন আমি হয়ত এবার পাবনা ৪ ( ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার) জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করব। যদিও সাটানো ওই বিলবোর্ড গুলোতে নির্বাচন করব বা করতে পারি এমন কিছুই লেখা নেই তবুও দলে থেকে যারা অকৃতকার্য প্রমানিত হয়েছেন, যাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে পরেছে, যারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্বিতীয়বার আর টিকিট চাইতে পারার যোগ্যতা হারিয়েছে তারাই আমার এই বিলবোর্ড গুলোকে ঈর্ষা করেছেন। হয়তবা তাহারাই আমার এই বিলবোর্ড গুলোকে রাতের অন্ধকারে ছিড়ে লন্ডভন্ড করেছেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পার্টির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন হয়ত এটাই আমার অপরাধ যার জন্য নিজ দলের ব্যর্থ নেতারা আমার জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করার জন্য এই ব্যার্থ আর নোংরা খেলায় মত্ত হয়েছে।

লাল আরও বলেন, বিলবোর্ড ছেঁড়া নিয়ে আমার কোন অভিযোগ বা অনুযোগ নেই। তবে বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বিলবোর্ড যারা ছিঁড়তে পারেন তারা অবশ্যই রাজাকারের প্রেতাত্বা এবং রাজাকারের দোষর।

নির্বাচনের প্রার্থীতা নিয়ে তিনি বলেন, জননেত্রী যাকে দেবেন আমি তার পক্ষেই নির্বাচন করব তবে তিনি যদি আমাকে দেন আমি অবশ্যই সেটা সাদরে গ্রহন করব এবং ঈশ্বরদী আটঘরিয়াকে একটি উর্বর আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ