পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি এম সাইদুল হক চুন্নু (৭২) আর নেই।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৩টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। মঙ্গলবার বাদ যোহর বাংলাদেশ ঈদগা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
সাইদুল হক চুন্নুর শ্যালক পাবনা চেম্বারের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুব উল আলম মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ডায়াবেটিস, কিডনীসহ শারীরিক নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন সাইদুল হক চুন্নু। অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় গত ১৬ ডিসেম্বর তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
উল্লেখ্য, সাইদুল হক চুন্নু পাবনা জেলা পরিষদের প্রথম প্রশাসক ছিলেন। জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দুর্দিনে দলের ভূমিকা রেখেছিলেন। পাবনায় সুচিত্রা সেনের বাড়ি উদ্ধার আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও জেলার শিল্প-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নানাভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাছিমের ভায়রা ভাই ছিলেন সাইদুল হক।
তার মৃত্যুতে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় উপদেষ্টা ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, স্কয়ার স্বাধীন গ্রুপ পের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পাবনা সদর আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা ডায়বেটিক সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, দৈনিক বিবৃতি র সম্পাদক ইয়াছিন আলী মৃধা রতন, নির্বাহী সম্পাদক ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।