পাবনায় করোনা ভাইরাস সতর্কতায় শহরের একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সরকারি আদেশ অমান্য করায় ৬১ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা এবং ৫৩ টি মামলা দায়ের করা হলেও সাধারন মানুষ সামাজিক দুরুত্ব মানছেন না। এদিকে নতুন ১২ জনসহ জেলায় মোট ১৩২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে (পর্যবেক্ষণ) রাখা হয়েছে।
সোমবার পাবনা পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ আব্দুল হামিদ সড়কে ব্যাপক মানুষের চলা ফেরা করতে দেখতে পাওয়া যায়। ছোট বড় যানবহন আর সাধারন মানুষের ভিরে অনেকটা যানজটের সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে আইন অমান্য করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাবনায় এখনও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ঝুকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা।
এদিকে শহরের একটি বাড়ি লকডাউন করে প্রশাসন। পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন রোববার সন্ধায় বাড়িটি লকডাউন করেন। তিনি আরো জানান, নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১২জন। করোনা সন্দেহে আজকে (সোমবার) দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সরকারী আদেশ অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করায় পাবনা সদর, আটঘরিয়া, চাটমোহর, সাঁথিয়া, বেড়া ও সুজানগর উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৫৩টি মামলা দায়ের এবং ৬১ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৪ হাজার ৬’শ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, জেলাব্যাপী করোনা কোভিট-১৯ মোকাবেলায় সরকারের দেয়া সকল ধরনের আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। সাধারন মানুষ সচেতন না হলে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা খুব মুশকিল। তবে বিষটি গুরুত্ব সহকারে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে জেলার সমস্ত কাঁচাবাজার সকাল ১১টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। জরুরী ভিত্তিতে মাইকিং করা হচ্ছে। এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।