পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ক্ষমা ঘোষণা করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর গণভবনে এ সভা শুরু হয়ে চলে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
আগামী নির্বাচন ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনায় বিদ্রোহী ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পাবনা পৌরসভা নির্বাচনের বিদ্রোহীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন দলীয়প্রধান।
পৌরসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গত ৩০ জানুয়ারি আলোচিত পাবনা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ হন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
ক্ষুব্দ এসব নেতারা জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরিফ উদ্দিন প্রধানকে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেন। তারা স্কয়ার গ্রুপের কর্ণধার অঞ্জন চৌধুরী পিন্টুকে দায়ী করে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। তাদের ব্যাপক তৎপরতা ও প্রচার-প্রচারণায় বিদ্রোহী প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধানের কাছে মাত্র ১২২ ভোটে পরাজিত হন সনি বিশ্বাস।
নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত ২৮ জানুয়ারি পাবনা জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ১৮ নেতা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ।
যাদের নোটিশ দেয়া হয়েছিল তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বাবু, আব্দুল হামিদ মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক আবু ইসাহাক শামীম, অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী বাকী, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু, প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, ধর্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, শ্রম সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, কার্যকরী সদস্য ইমদাদ আলী বিশ্বাস, উপদেষ্টা ইদ্রিস আলী বিশ্বাস, আসম আব্দুর রহিম পাকন, লিয়াকত আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি তসলিম হাসান সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মামুন।