দুই বছরের মাথায় আবারও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ভেঙে দেয়া হলো। কোন্দলে জর্জিত এই কমিটি ভেঙে দিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কমিটির অনুমোদন দেন।
এতে আহবায়ক করা হয়েছে আগের কমিটির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে। নতুন এ কমিটিতে আব্দুস সামাদ খান মন্টু, আনিসুল হক বাবু ও আবু ওবায়েদ শেখ তুহিনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারকে।
বিষয়টি পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন কমিটির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে আগের কমিটি তেমন কাজ করার সুযোগই পায়নি। যদিও আমরা উপজেলা পর্যায়ে আহবায়ক কমিটি দিয়েছিলাম, কিন্তু পুর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারিনি। এবার কেন্দ্রীয় কমিটি যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা নতুন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
দায়িত্বপাওয়া সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে বলেন, ‘নিঃসন্দে অতীতের যেকোনও কমিটির তুলনায় এবারের কমিটি সুন্দর হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগের উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিটা কমিটিই সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূলের ভোটের নির্বাচিত করবো। পরিশেষে ভোটের মাধ্যমেই জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের মাধ্যমে আমাদের এই আহবায়ক কমিটির কাজ শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুলাইয়ে পাবনা জেলা বিএনপির বহুল আলোচিত-সমালোচিত তৎকালীন কমিটি ভেঙে দিয়ে ৪৩ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের ওই কমিটিও জেলার নেতাকর্মীদের আলোর মুখ দেখাতে পারিনি।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য দলকে শক্তিশালী করতে যোগ্য, সাহসী, নিবেদিত ও সংগ্রামী নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব দিয়ে কমিটি গঠন করতে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা পাঠায় কেন্দ্রীয় বিএনপি। তিন মাসের মধ্যে উপজেলা, থানা ও পৌর এলাকায় প্রতিনিধিদের সম্মেলনের মাধ্যমে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে বলা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পেরিয়ে দুই বছরেও কোনও উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটি দিতে পারেন তারা।
পুনর্গঠন তো দূরের কথা আগের মতোই কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে জেলা আহবায়ক কমিটি। দুই বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুর অনুসারী সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের অনুসারীরা। এমন পরিস্থিতিতে জেলা বিএনপির কর্মকাণ্ডে নেমে আসে স্থবিরতা।