সংক্ষিপ্ত থেকে পরিধি বাড়িয়ে পাবনা জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২২ আগস্ট) এ কমিটি অনুমোদন করা হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি এবার ৩১ সদস্যে রুপান্তর করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল দুই বছরের মাথায় পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ওই কমিটিতে আহবায়ক করা হয়েছে আগের কমিটির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে। কমিটিতে আব্দুস সামাদ খান মন্টু, আনিসুল হক বাবু ও আবু ওবায়েদ শেখ তুহিনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে। আর সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের জায়গায় সদস্য সচিব করা হয়েছিল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারকে। পরে সেই কমিটিতে যুগ্ম-আহবাক করা হয় নুর মোহাম্মদ মাসুম বগাকে।
সর্বশেষ আজকে অনুমোদন দেয়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- অ্যাডভোকেট মির্জা আজিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট শাহজাহান আলী, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান, সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, মো. তৌফিক হাবিব, কে এম মুসা, মাহমুদুন্নবী স্বপন, সাইফুল ইসলাম বাদশা, সাবির হাসান বাচ্চু, মনোয়ার শামীম, আব্দুল কাশেম, সেলিম আহমেদ, মো. ফরদাহ জোয়াদ্দার, রেহানুল ইসলাম বুলাল, মো. হারুনুর রশিদ, ডা. আহমেদ মোস্তফা নোমান, আবু বকর সিদ্দিক মুকু, সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, তপন সাহা, এরশাদুল হক সবুজ, সর্দার সেলিম রেজা, অ্যাডভোকেট মলয় কুমার দাস রায়, মমতাজ উদ্দিন খান, মো. আসাদুজ্জামান আসিফ এবং মো. শরিফুল ইসলামকে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুলাইয়ে পাবনা জেলা বিএনপির বহুল আলোচিত-সমালোচিত তৎকালীন কমিটি ভেঙে দিয়ে ৪৩ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের ওই কমিটিও জেলার নেতাকর্মীদের আলোর মুখ দেখাতে পারিনি।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য দলকে শক্তিশালী করতে যোগ্য, সাহসী, নিবেদিত ও সংগ্রামী নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব দিয়ে কমিটি গঠন করতে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা পাঠায় কেন্দ্রীয় বিএনপি। তিন মাসের মধ্যে উপজেলা, থানা ও পৌর এলাকায় প্রতিনিধিদের সম্মেলনের মাধ্যমে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে বলা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পেরিয়ে দুই বছরেও কোনও উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটি দিতে পারেন তারা।
পুনর্গঠন তো দূরের কথা আগের মতোই কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে জেলা আহবায়ক কমিটি। দুই বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুর অনুসারী সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের অনুসারীরা। এমন পরিস্থিতিতে জেলা বিএনপির কর্মকাণ্ডে নেমে আসে স্থবিরতা।
দ্বিতীয় দফায় আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে নুতন করে গত ১৫ এপ্রিল আহবায়ক কমিটি গঠন করলেও গত প্রায় পৌনে ৫ মাসে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি বর্তমান আহবায়ক কমিটিও। ফলে নির্বাচন ও আন্দোলনকে সামনে রেখে আগের মতোই নিজেদের গোছাতে পারেনি পাবনা জেলা বিএনপি।