পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে অভ্যন্তরীণ কাদা ছোড়াছুড়ি বাড়ছে। একে অপরকে ঘায়েল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ডিসেম্বরের আগেই জেলার সম্মেলন করতে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ইতিমধ্যে কয়েকটি উপজেলার সম্মেলনও শেষ করেছেন।
মূলত, গত ৩০ জানুয়ারি পাবনা পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভেদ প্রকাশ্যে আসে। সেই নির্বাচনে প্রকাশ্যে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দল মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে আটঘাট বেঁধে নেতারা শহরের অলিগলি চষে বেড়িয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করেছেন তারা।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পাবনা জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ১৮ নেতা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগ। যদিও সেই নোটিশের জবাব আর প্রকাশ্যে আসেনি। এছাড়াও আলটিমেটাম দেওয়ার পরও নৌকার পথসভায় আসায় গত ২৮ জানুয়ারি পাবনা সদর উপজেলা ও পৌর শাখা আওয়ামী লীগের কমিটি বাতিল ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
সেই ঘোষণা আর কারণ দর্শানোর নোটিশকে কাজে লাগাতে চায় জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে। নৌকার পক্ষের ওই অংশটি এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের দারে দারে ঘুরছেন তারা।
২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী প্রবীণ রাজনীতিক শামসুর রহমান শরীফ ডিলুকে সভাপতি এবং গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগেই সম্মেলন করতে সক্ষম হব বলে আশা করছি।’
নেতৃত্বে কেমন লোক আসবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্লিন ইমেজ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন ব্যক্তিকেই কাউন্সিলররা বেছে নেবেন। কোনো হাইব্রিড, উড়ে এসে জুড়ে বসার ব্যক্তিদের স্থান আওয়ামী লীগে হবে না।’