পাবনায় ৩২ হাজার ভোটের ইউপিতে নৌকা পেল ৬২৯ ভোট!

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাবনা সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সব কয়টিতেই শোচনীয় পরাজয় হয়েছে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের। এর মধ্যে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা গয়েশপুর ইউনিয়নে। ৩২ হাজার ভোটারের এই ইউনিয়নে তার ভোটের সংখ্যা মাত্র ৬২৯টি।

রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়ছার মোহাম্মাদ। ফলাফল বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নৌকার প্রার্থী সামসুল মন্ডল প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩য় স্থানে রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের এই প্রার্থী ভোট পেয়েছেন মাত্র ৬২৯টি। এই ইউনিয়ন পরিষদের মোট ভোটারের সংখ্যা ৩২ হাজার ২৪৩ জন। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৩ হাজার ৩৮০ ভোট। তিনি প্রাপ্ত ভোটের মাত্র ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

১১টি ভোট কেন্দ্রের এই ইউনিয়ন ১২ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্রী চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের মোতাহার হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের জিন্নাহ মন্ডল পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৩ ভোট।

এর আগে রবিবার কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ছাড়া পাবনার সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। হেমায়েতপুরের নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও নজরুল ইসলাম হাবু উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টের বের করে দেয়া এবং চর ঘোষপুর মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এতে চরঘোষপুর কেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এছাড়াও আতাইকুলা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। ‌

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে চতুর্থ ধাপে পাবনার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশের মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং, স্ট্যান্ডবাই ফোর্স মোতায়েন করা ছিল।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ