যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়া ও ক্রমাগত বৃষ্টির হওয়ার ফলে পাবনার সাঁথিয়ার নিম্নঞ্চল খ্যাত নাগডেমড়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ১২শ’ পরিবার দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ফলে এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগএ মানবেতর জীবন যাপন করছে ত্রাণ হীন এসব মানুষ।
দেখার যেন কেউ নেই। প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ঔষধের অভাব প্রকট ভাবে অনুভব করছে বানে ভাসা কর্মহীন হয়ে পড়া হাজার হাজার মানুষ। এদিকে উপজেলা প্রশাসন গত ৮/১০ দিন ধরে চাহিদা দিয়েও এখন পর্যন্তও পাচ্ছেন না ত্রাণ।
পানিবন্দি সাঁিথয়া উপজেলার নাগডেমড়া ইউনিয়নের বড় সোনাতলা,ছোট সোনাতলা,বৈরাগী সোনা তলা, হাড়িয়া,পাটগাড়ী, চিনানাড়ী, ছোট নারিন্দা, নাগডেমড়া, ছোট পাতাইলহাট, বড় পাতাইলহাট, সেলন্দা, ক্ষিদির গ্রাম,আটিয়া পাড়াসহ প্রায় ১৫টি গ্রামে গেলে দেখা যায় শুধু পানি আর পানি।
প্রায় প্রতিটা বাড়ির শোবার ঘরের মধ্যে হাটু পানির উপরে। এদের কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কেউ কেউ ঘরের সাথে বাঁশের সাকো বেধে এরপর কলার ভেলা দিয়ে বাইরে এসে বিভিন্ন কাজকর্ম করছে। পানি বন্দি হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। দেখা দিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।
নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ১২শ’ পরিবার ১৫ দিন পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ফলে এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। মানবেতর জীবন যাপন করছে হাজার হাজার ত্রাণহীন এসব মানুষ। প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি,ঔষধের অভাব প্রকট ভাবে অনুভব করছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহায়তা পাইনি। ঈদের আগে সামান্য ১ টন খাদ্য সামগ্রী পেয়েছিলাম। আমি নিজ থেকে যতটুকু পারছি সহযোগীতা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম কোরাইন্টাইনে থাকলেও তিনি বলেন, ৮/১০দিন আগে ত্রাণের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে। অনুদান এলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তা বিতরণ করা হবে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, আমাদের ত্রাণ পর্যাপ্ত আছে। অতিসত্ত্বর সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ত্রাণ পৌছে দেয়া হবে।