পাবনায় হাট-বাজার নিয়ে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে, আহত ১৪

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় হাট-বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬-৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রোববার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের চর কুড়ুলিয়া গ্রামের নছিরের ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- চরকুড়ুলিয়া গ্রামের মৃত উপি প্রামানিকের ছেলে পিন্টু প্রামানিক( ৪০) ও শরিফ প্রামানিক (৩৮), মৃত গনি মালিথার ছেলে ছালাম মালিথা (৩২) ও সেলিম মালিথা (৩৫), মৃত মন্টু প্রামানিকের ছেলে নাজমুল প্রামানিক (৩৩) ও কারিবুল প্রামানিক (৩৫), মৃত আক্কাজ আলীর ছেলে রানা প্রামানিক (৩৩), আরিফুল ইসলাম (২৭), রাকিব কামার (৩২)। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহতদের মধ্যে পিন্টু প্রামানিক ও শরিফ প্রামানিককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ছালাম মালিথাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো পাঠানো হয়েছে। বাকিরাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাশ্ববর্তী সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় ও চর গড়গড়ী দাখিল মাদরাসা মাঠের হাট-বাজার নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। আলহাজ্ব মোড় হাট-বাজারের চর কুড়ুলিয়ার আ.লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কাফি মালিথা। অপরদিকে চরগড়গড়ি মাদরাসা হাট-বাজারের ইজারা পান একই গ্রামের আ.লীগ নেতা গোলাম সারোয়ার। তবে দুই নামের দুটি হাট-বাজার একই জায়গায় বসার কারণে তা দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আগামীকাল সোমবার (২৫ জুন) বিরোধ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুই গ্রুপকে নিয়ে বসার কথা ছিল। দুই গ্রুপকে নিয়ে প্রশাসনের এমন উদ্যােগের পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে বিকেলের দিকে উভয় গ্রুপে একবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে কয়েক জন আহত হোন। পরে এর জের ধরে সন্ধ্যার দিকে উভয় গ্রুপ আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৪ জন আহত হোন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদীর থানা পুলিশর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, স্থানীয় দুটি হাট-বাজারের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৪ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস জানান, হাটের ইজারা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যায় দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ