পাবনার সুজানগর উপজেলায় সাবেক স্ত্রীকে না পেয়ে শাশুড়িকে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন মেয়ের জামাই। দুই মামাকে সঙ্গে নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন হাফিজুর রহমান (২৬) নামের সাবেক এক স্বামী।
শুক্রবার (০৭ আগস্ট) উপজেলার চিনাখরা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে শাশুড়ি রীনা বেগমকে ছেড়ে পালিয়ে যান তারা। রীনা বেগম সুজানগর উপজেলার তেবিলা গ্রামের আব্দুল হাই মিয়ার স্ত্রী।
আব্দুল হাই মিয়া বলেন, দুই বছর আগে আমার মেয়েকে (২২) সুজানগর উপজেলার আন্ধারকোটা গ্রামের রহিম খন্দকারের ছেলে হাফিজুরের সঙ্গে বিয়ে দেই। বিয়ের পর মেয়ে জানায় হাফিজুর মাদকাসক্ত। এ নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। মাদক সেবনে বাধা দিলে মেয়েকে মারধর করতো হাফিজুর। পরে একদিন মারধর করে মেয়েকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, হাফিজুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গত ৩ জুলাই স্বামীকে ডিভোর্স দেয় মেয়ে। কিন্তু ডিভোর্স না মেনে স্বামী বলে পরিচয় দেয় হাফিজুর; সেই সঙ্গে বাড়ি গিয়ে মেয়েকে একাধিকবার অপহরণের চেষ্টা চালায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেয়ে ও তার মা চিনাখড়া বাজারে যায়। তাদের পিছু নেয় হাফিজুর। এ সময় হাফিজুরের সঙ্গে ছিল তার মামা মনছের আলী (৩০) ও সিরাজ (২৫)। চিনাখড়া বাজারে যাওয়ার পরই মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে হাফিজুর ও তার দুই মামা। এ সময় বাধা দেয় মেয়ের মা। এতে ব্যর্থ হয়ে মেয়ের মা রীনা বেগমকে তুলে নিয়ে যায় তারা। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায় হাফিজুর ও তার দুই মামা।
আব্দুল হাই মিয়া আরও বলেন, ঢাকায় কর্মস্থলে থাকায় পুলিশকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানানো হয়নি। আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। পাবনার ফিরে পুলিশকে বিষয়টি জানাব। সেই সঙ্গে মামলা করব।
দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাজাহান বলেন, মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। হাফিজুর বখাটে ছেলে। বাজার থেকে মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে হাফিজুরের পরিবারকে সতর্ক করা হয়েছে। মেয়েটির পরিবার চাইলে সালিশ কিংবা থানায় মামলা করতে পারে।
সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুদ্দোজা বলেন, শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।