পাবনায় সাবেক পুলিশ সদস্য হত্যায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

পাবনার সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্দে জাহাঙ্গীর আলম (৬৮) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আশরাফ আলীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান। এর আগে সোমবার (২২ আগস্ট) হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের জিয়ালগাড়ী ভবানীপুর গ্রামের আকবার প্রামাণিকের ছেলে আশরাফ আলী, আবুল হোসেনের ছেলে আকরাম হোসেন, খলিলুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন, আরশেদ আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন ও সাঁথিয়া থানার ভৈরবপুর গ্রামের মোকারম হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম।

সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এর আগে নিহত জাহাঙ্গীরের ছেলে জুবায়ের খন্দকার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সুজানগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসেন খোন্দকারের ছেলে। তিনি গত বছরের অক্টোবর মাসে পুলিশের চাকরি থেকে অবসরে যান।

উল্লেখ্য: সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য তার ভাই মতিনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের রেললাইনে বসে ছিলেন। এ সময় রেললাইনের দক্ষিণ পাশ থেকে শতাধিক লোকজন প্রকাশ্যে দিবালোকে হাসুয়া, বল্লম, টেঁটা ও চাপাতিসহ অতর্কিত হামলা করে জাহাঙ্গীর আলম নামে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

পুলিশ জানায়, গত ৫ বছর আগের একটি ধর্ষণের ঘটনা ‘৫ বছর আগে তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল সেই পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে গতকালই পরিবারকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ