পাবনায় ল্যাব না থাকায় নমুনা পরীক্ষা বিপাকে, ২ হাজার নমুনা পেন্ডিং


কাজী বাবলা:
পাবনায় প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে করোনা রুগী। পাবনার মানুষের রাজশাহী ও ঢাকা ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়।  জেলায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় কর্তৃপক্ষ নমুনা পরীক্ষা নিয়ে পড়েছে বিপাকে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

পাবনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়,  জেলায় প্রায় দুই হাজারের উপরে নমুনার ফল পেন্ডিং আছে। এ পর্যন্ত পাবনায় করোনায় আক্রান্ত ৪ শতাধিক। ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৮ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১ জন। জেলায় প্রথম করোনা  রোগী শনাক্ত হয় গত ১৬ এপ্রিল।

এদিকে পাাবনায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার বাসীর করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাতে হয় রাজশাহী অথবা ঢাকায়। ফলে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে সময় লাগছে ৫ থেকে ১০ দিন।  এখনো দুই হাজারের উপরে নমুনার ফলাফল আসে নাই। বিলম্ব হওয়ায় নমুনা নেওয়া ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত কি না স্বল্প সময়ে জানতে পারছে না সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগসহ নমুনা দেওয়া ব্যক্তি। নমুনা দেয়া ব্যাক্তি ফলাফল অজানায় অনেকের বিচরণ দেখা গেছে যত্রতত্র। তাদের নেই কোন মনিটরিং।  বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্তদের শরীরে তেমন উপসর্গ না থাকায় অনেকে বুঝতেও পারছেন না তিনি করোনা পজিটিভ কি না। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা নিজে যেমন সংক্রমিত হচ্ছে  তেমনি অন্যদেরও সংক্রমিত করছেন। এতে পাবনায় প্রতি দিনই বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।

পাবনার বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও বীমা কোম্পানীর শাখা প্রধানরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা প্রতি নিয়ত ঝুকি নিয়ে কাজ করছি। নমুনা দিতে গিয়ে দিতে পারছি না। আমাদের ঘোড়ার মতো এখানে নয় সেখানে পাঠানো হয়। তারপরেও যদিওবা নমুনা দিতে পারি। কিন্ত ফলাফলের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ইতি মধ্যে দুটি ব্যাংক এর শাখা লকডাউন করা হয়েছে। কেউ কোন দ্বায়িত্ব নেয় না।

পাবনা মেডিকেল কলেজে অথবা জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব বসিয়ে নমুনা পরীক্ষার দাবী জানান তারা।

পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের ডাঃ আব্দুর রহিম বলেন, প্রথমদিকে আমাদের নমুনা পাঠানোর একদিনের মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে। দিনে দিনে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলাফল আসতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। জেলায় ল্যাব হলে বেশি  বেশি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, আমাদের এখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্থ সুযোগ সুবিধা আছে তা ছাড়া একটা মেডিকেল কলেজ আছে সেখানে ল্যাব স্থাপন করা যেতেই পারে। পিসিআর ল্যাব স্থাপনের ব্যাপারে আমি চেষ্টা করছি।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ