দীর্ঘ ৭ বছর পর পাবনার যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লাভলু হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে আটক করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পাবনা ইউনিট। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের মূল হোতা গ্রেফতার হলেও সহযোগীরা
পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পি বি আই, পাবনার পুলিশ সুপার মোঃ. ফজলে এলাহি ঘটনার জানান, পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা লাভলুকে ২০১৪ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরে লালন শাহ সেতুর টোল প্লাজার কাছে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ছিনতাইকারী রাস্তায় গতিরোধ করে কুপিয়ে হত্যা করে মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ পত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দিলে, বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের মুল হোতা পলাশ মিয়া (৩৪)কে রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার কালারিপারা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ জানায়, নিহত লাভলু ঘটনার দিন রাতে পাকশী লালন শাহ সেতুর টোল পয়েন্টের কাছে পৌঁছালে পলাশ ও তার দলবল রশি ফেলে তাদের গতিরোধ করে তাদের মারধর করে এবং ছুরিকাঘাত করে। এতে লাভলুর মৃত্যু হলেও বেঁচে যান তার সাথে থাকা মোসতাকিন মনোয়ার। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পিবিআই তদন্ত করে পলাশের নাম জানতে পাড়ে। পড়ে পলাশকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে হত্যাকান্ডের ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন করা হয় এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম জানা যায় বলে জানান তিনি। জিজ্ঞসাবাদ শেষে হত্যাকান্ডের মুল হোতা পলাশ মিয়াকে মঙ্গলবার আদালতের মাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।