পাবনায় বীর সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

বাংলাদেশ স্বাধীনতার আজ ৫০ বছর পূর্ণ করলো। আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে।

২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ডাক দেন। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এ দিনটি স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরও। এবার তাই উদযাপনেও যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা।

দিনটি উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ মার্চ) প্রথম প্রহরে শহীদদের বিনম্র ও শ্রদ্ধা স্মরণে শেখ রাসেল শিশু পার্কে অবস্থিত দূর্জয় পাবনা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার মো. মুহিবুল ইসলাম খানসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা।

এরপর ভোর থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামের জীবন উৎসর্গ করা মহান শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নেমেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বাড়তে থাকে। দিবসের প্রথম প্রহরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা পুলিশ প্যারেড ময়দানে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়।

সুশৃঙ্খলভাবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশামন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় স্মৃতিসৌধের সামনে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হচ্ছে।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ