পাবনায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নানা পদক্ষেণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন, জেলার প্রতিটি হাসপাতালে পৃথক আইসোলেশন সেন্টার তৈরি ও শহরের একটি বিদ্যালয়কে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ সাংবাদিকের এ কথা জানান।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজসহ বিভিন্ন কারণে পাবনায় বিদেশিদের আনাগোনা রয়েছে। অনেক প্রবাসীও বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরছেন। ফলে তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখতে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। গত দুই দিনে জেলার আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদীতে তিন ব্যক্তি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। তাঁদের প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ তাঁদের বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করা হয়েছে। তবে কারও শরীরে এখন পর্যন্ত করোনার কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
পাবনার সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিদিন নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে জনসাধারণকে সচেতন করতে বিশেষ প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিত তৈরি হয়নি। জেলার কোথাও এখনো করোনার অস্থিত্ব মেলেনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। এটি একটি সাধারণ অসুখের মতোই। এরপরও বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, জেলাবাসী নিরাপদে থাকবে।