ইমো অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচয় ও প্রেমের পর বান্ধবী মোমেনাকে (ছদ্মনাম) সঙ্গে করে নিয়ে ঢাকা থেকে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন মাসুমা (ছদ্মনাম)। প্রেমিক আল-আমিন বন্ধুদের সহযোগিতায় তাদের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় প্রেমিকা মাসুমা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গণধর্ষণের শিকার হোন মোমেনা।
লোমহর্ষক এই ঘটনায় রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। এর আগে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার মুলাডুলি শেখপাড়া এলাকায় কৃষি ফার্মের রাস্তার পাশে আখক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন; ঈশ্বরদীর লক্ষীকোলা গ্রামের বাকী বিল্লাহ’র ছেলে আল আমিন (২৫), একই এলাকার নায়েব আলী সরদারের ছেলে মহিদুল সরদার (৩৫), নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার গোপালপুরের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রশীদ (৩৫), বড়াইগ্রামের রাজাপুরের চাঁন মিঞার ছেলে জাবেদ (৩৫)।
থানায় দায়েরকৃত এজহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ার গার্মেন্টসকর্মী মাসুমার সঙ্গে ইমো অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচয় হয় আল-আমিনের। দীর্ঘ পরিচয় ও প্রেমের পর মাসুমাকে ঈশ্বরদীতে আসতে বলেন আল-আমিন। প্রেমিকের কথায় বিশ্বাস করে বান্ধবী মোমেনাকে সঙ্গে নিয়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় এসে পৌছায় দুইবান্ধবী। তখন সন্ধ্যা হয়ে গেলে প্রেমিক আল-আমিন তার বোনের বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে কৃষি ফার্মের কাছ নিয়ে গিয়ে জোর করে আখক্ষেতের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় মাসুদা লাথি ও ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আটকা পড়ে বান্ধবী মোমেনা। মোমেনাকে একা পেয়ে তাদের মধ্যে তিনজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশের আশ্রয় নেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, স্থানীয়রা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভিকটিম নারীদের থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। ভিকটিমদের বক্তব্য শুনে রাতেই কুষ্টিয়া ও বড়াইগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ ধর্ষককে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় আইনি প্রক্রিয়াসহ ধর্ষিতাদের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।