পাবনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া ঘরের কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান খোকন ৩ টি হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ভুক্তভুগীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিমাইচড়া ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরেশ চন্দ্র দাস, জুসনা রাণী ও সোনেকা খাতুনের কাছ থেকে মোট ২৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক বছর আগে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় (প্রধানমন্ত্রীর উপহার) সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান এইচ এম কামরুজ্জামান খোকন এই টাকা নেন। এখন ঘর দেওয়া দূরের কথা টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ঘর দরকার নেই, আমাদের টাকা ফেরত চাই।
ভুক্তভোগী জুসনা রাণী বলেন, চেয়ারম্যান ঘর দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন, আমি ঋণ করে ৮ হাজার টাকা দিয়েছি। এক বছর পার হয়ে গেল আজও আমার ঘর দেওয়ার নাম নেই। টাকা ফেরত চাইতে গেলে গালিগালাজ করেন।
ভুক্তভোগী পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, চেয়ারম্যান সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ৫হাজার টাকা নিয়েও ঘর দেন নাই। টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেন। সোনেকা খাতুন বলেন, আমার স্বামী নেই, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সরকারি ঘর চাইলে তিনি বলেন ২০ হাজার টাকা লাগবে। আমি কয়েক দিন পর ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। বছর পার হয়ে গেল আজও ঘর পাইনি। আমার ঘর দরকার নাই, এখন আমি টাকা ফেরত চাই।
এব্যাপারে নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান এইচএম মো: কামরুজ্জামান খোকন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত, আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি।
পাবনার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সৈকত ইসলাম বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার ঘর দেওয়ার কথা বলে নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।