পাবনা সদর উপজেলায় মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রামানিক(৩০) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে আতাইকান্দা ভাউডাঙ্গা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের আমিরুল ইসলাম প্রামানিক ভাড়ারা ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামের মোঃ মুন্তাজ প্রামানিকের ছেলে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, রবিবার রাতে দিকে চায়ের দোকানে উপরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় একই এলাকার রাজমিস্ত্রী আমিরুল ইসলাম প্রামানিককে। হত্যাকারীরা তাকে গুলি করে করে চলে যাবার সময় সর্বহারার দলের স্লোগান দিয়ে যায়। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ বলেন, আমিরুল দৈর্ঘদিন ধরে আমার সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছে, সে একজন নিরীহ মানুষ, তার ছেলে সন্তান এখন এতিম হয়ে গেল। তাকে হত্যা করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তবে নিহত আমিরুল ইসলাম এর আগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত চরমপন্থি নেতা নিস্তারের ঘনিষ্টজন বলে জানান পুলিশ। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। হত্যার কারণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কাজ করছে বলে জানান পুলিশ।
এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহত আমিরুল এলাকার অভ্যান্তরীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছে। ভাড়ারা ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাঁন ও সুলতান আহম্মেদ খাঁনের মধ্যে আঞ্চলিক আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। সন্ধ্যার পরে এলাকার মুজিববাঁধ সংলগ্ন আতাইকান্দা ভাউডাঙ্গা মোড়ের উপরে প্রতিদিনেরমত চা খেতে এসে ছিলো। সন্ত্রাসীরা পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলো। নিহত আমিরুল চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া অবস্থায় প্রকাশ্যে গুলিকরে হত্যা করে তাকে।
নিহত আমিরুল ইসলাম পূর্বে সর্বহারা দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও বর্তমানে কৃষি ও রাজমিস্ত্রীর কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো ও এলাকায় সুলতান খানের সমর্থক বলে জানান স্থানীয়রা। তবে এই ঘটনায় পরে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।