নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৩০ জানুয়ারি পাবনা পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা জমে উটেছে। কিন্তু পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণায় অতিরিক্ত শব্দদূষণে বিরক্ত পাবনা শহরবাসী। এই প্রচার-প্রচারণা এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে পাবনা শহরবাসীর জন্য।
কানের পর্দা ফাটানো নির্বাচনী প্রচারণার শব্দ এখন পাবনা শহরের যেকোনো এলাকাতেই শোনা যাচ্ছে। সকল প্রার্থীদের প্রচারণাতেই যুক্ত করা হয়েছে বাজসহ গান।
এমনকি শহরে বিদ্যুতের পুলে স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে মাইক। বিশেষ করে শহরের আব্দুল হামিদ রোডের কয়েকটি বিদ্যুত পুলে মাইক বসিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। যা অতি মাত্রায় শব্দদূষণ সৃষ্টি হচ্ছে।
নাম প্রকাশে এক শহরবাসী জানান, পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলররা প্রচারণার সময়েই যে পরিমাণে দূষণ চালাচ্ছেন, জয়ী হওয়ার পর কী করবেন, তা নিয়ে এখনই শহরবাসীর মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
দেশের প্রচলিত শব্দ দূষণ আইন থাকলেও পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণায় কোন প্রয়োগ নেই। এর ফলে সাময়িক বধির বা স্থায়ী বধির রোগে আক্রান্ত হওয়ার দিকে ধাবিত হতে পারে মানুষ। এ ক্ষেত্রে শিশু, কিশোররা রয়েছে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে।
পাবনা শহর ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা। সবচেয়ে বেশি মাইকের ব্যবহার। স্বল্প জায়গায় অধিক প্রার্থী হওয়ায় ৮/১০টি মাইক একসাথে লাইন ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে উচ্চ শব্দে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, মসজিদ-মন্দির ও আবাসিক এলাকায় উচ্চ শব্দে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রচারকারীরা। এমনকি যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেও তারা থামছে না। বাধ্য হয়ে কানে আঙ্গুল দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নয়তো শব্দের যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পাবনা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়ছার পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে বলেন, একজন প্রার্থী একটি ওয়ার্ডে একটি মাত্রা প্রচার মাধ্যম (মাইক/লাইডস্পিকার) ব্যবহার করতে পারবেন। আর সাউন্ডের গতির বিষয়ে প্রার্থীদের বলে দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ব্যবহার করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যুত পুলে মাইক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণায় কোনও প্রার্থীই নির্বাচনের পুলে মাইক ব্যবহার করতে পারবেন না। আমি নিজেই সেখানে সরাসরি গিয়ে প্রত্যক্ষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।