পাবনা-কাজিরহাট মহাসড়কে শ্যালোইঞ্জিন চালিত নছিমন ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সসার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও একজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পাবনা বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুর অঞ্চলের আমিনপুর থানাধীন দাড়িয়াপুর নামক স্থানে এই সড়ক দূর্ঘটনা হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে পাবনা আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পাবনা থেকে যাত্রীবাহি একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা কাশিনাথপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দাড়িয়াপুর নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যালোইঞ্জিন চালিত একটি নছিমনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন গুরুত্বর আহত হয় ও ঘটনাস্থলে সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কাশিনাথপুর ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপর দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে গুরুত্ব আহত শিশু দুটির মাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থান্তর করা হয়েছে।
স্থানয়িদের দেয়া তথ্যমতে নিহত শিশু দুটি একই পরিবারের সদস্য সম্মর্কে দুই বোন হবে।
একজনের নাম সিন্থিয়া (৫) ও অপরজনের নাম আয়শা (২মাস) বয়সী শিশু। নিহত দুই শিশুর মা বিলকিস খাতুনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। নিহত দুই শিশু কাশিনাথপুর বয়রা গ্রামের সবুজ রানার সন্তান ও আহত বিলকিসের স্বামী। তবে নিহত সিএনজি চালকের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। স্থানীয় পুলিশ সুত্রে জানাগেছে গাড়ি দুইট উদ্ধার করে পাবনা মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছেন।
তবে এই ঘটনার বিষয়ে পাবনা মাধপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) এস এম আবুল কাশে বলেন, নিহত দুই শিশুর কোন নাম পরিচয় এখনো আমরা পাইনি। আমাদের পুলিশ সদস্য ও আমিনপুর থানা পুলিসের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেছে। আমরা সন্ধান করছি। তবে ঘটনাস্থলে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আর একজন নিহত দুই শিশুর মাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
এদিকে পাবনা সদর হাসপাতালের দেয়া সূত্রে জানা গেছে নিহত শিশু দুটির মার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা রাজশাহীতে রেফার করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় চিকিৎসকেরা প্রাথমিক ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে নেয়ার জন্য চিকিৎসকের সাথে কথা বলছেন। তবে পরিবারের কোন সদ্যদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এই আহত গৃহবধু মায়ের বাড়ি সুজানগর মসজিদ পাড়া এলাকায়। তিনি আজ সেখান থেকে পরিবার নিয়ে সিএনজি করে কাশিনাথপুর বয়রা স্বামীর বাড়িতে আসছিলেন বলে জানা গেছে।