তীব্র গরমে একেবারে অতিষ্ঠ মানুষ।এর মাঝে চলছে রোজা মাস। ইফতারিতে এক টুকরো তরমুজ যেন দারুণ তৃপ্তি দেয় রোজাদারদের। কিন্তু পাবনায় তরমুজ যেন এবার ‘বড় লোকের ফল’।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) পা্বনার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানের তরমুজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬৫ টাকায়। ভালো মানেরগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এতে বড় আকারের (৮ কেজি) একটি তরমুজ কিনতে ৫০০ টাকার মতো লাগছে। রমজানের আগে যে তরমুজ ২০০ টাকায় কেনা যেত, সেই তরমুজ কিনতে এবার ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাগছে বলে ক্রেতারা জানান।
পাবনার আড়তে তরমুজ আসে বরগুনা, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে। পাইকারিতে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হয় না। খুচরা ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাজারে এবার তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এই গরমে মন চাইলেও অনেকে তরমুজ ছুঁয়ে দেখতে পারছেন না। সাধারণ ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চাহিদা থাকায় সিণ্ডিকেট করে তরমুজের দাম বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন, এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবে কিনবে সেভাবেই বেচতে হবে। কিন্তু পাবনার ফল ব্যবসায়ীরা এমন নিয়ম মানছেন না বলে রয়েছে অভিযোগ।
এইমধ্যেই পিস হিসেবে কিনে কেজিতে বিক্রি করায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। পাবনার এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান চালানো অতি জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ক্রেতা।